ফ্রান্সে বসবাসকারী কোনো ব্যক্তির মস্তিস্কে যদি ভারতের সঠিক সংকেত পাঠানো যায় তবে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। বরং ইন্টারনেটে লেখার ঝামেলা এড়িয়ে যাওয়া যাবে। আগামী এক দশকের মধ্যে এমনই যোগাযোগ ব্যবস্থার কথা ভাবছেন হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তারা এগিয়েছেনও অনেক দুর।
প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানীরা কোনো প্রকার সংযোগ ছাড়াই পৃথক দুই ব্যক্তির মস্তিস্কের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের রাস্তা খুঁজে পেয়েছেন। এমন একজন ভারতে আর একজন ফ্রান্সে থাকলেও তা সম্ভব।
হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানীর গবেষণা অনুযায়ী, এ প্রযুক্তিতে এক মস্তিস্ক থেকে আরেক মস্তিস্কে তথ্য পাঠানো সম্ভব হবে হাজার মাইল দূরে থেকেও।
গবেষণা সহযোগী তাত্বিক পদার্থবিদ জিওউলিও রূফিনির মতে, 'স্বপ্নের ভাবধারা প্রকাশের প্রযুক্তিগত উপলব্ধি এটি। এটা মোটেও যাদুকরী কিছু নয়। আমরা মস্তিস্কের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য বিদ্যুৎচৌম্বকীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করছি।'
এ পরীক্ষার জন্য, একজন ব্যক্তিকে তারবিহীন ইন্টারনেট সংযুক্ত ইলেকট্রোইনসেফালোগ্রাম বা ইইজি পড়ানোর হয়। এরপর সহজ অভিবাদনের শব্দ যেমন ‘হোলা’ বা ‘সিয়াও’ উচ্চারণ করতে বলা হয়। কম্পিউটার বায়োনারি কোডের মাধ্যমে শব্দটি ১ ও ০ সংখ্যায় স্থানান্তর করে।
এরপর ম্যাসেজ ইমেইলে ইন্ডিয়া থেকে ফ্রান্সে পাঠানো হয়। রোবটের মাধ্যমে ম্যাসেজটি গ্রাহক বরাবর প্রেরণ করা হয়। মস্তিস্কে উত্তেজনা ছাড়াই অপর ব্যক্তিটি তার চিন্তার জগতে একটি আলোর আভা দেখতে পান।
গ্রাহক কিছু শুনতে বা কোনো শব্দ দেখতে পান না। কিন্তু প্রাপ্ত আলোর আভা থেকে তিনি সংবাদটি বুঝতে পারেন।
গবেষণা সহযোগি আলভ্যারো প্যাসকুয়েল বলেন, আগামী এক দশকের মধ্যে বিজ্ঞানীরা এ উপায়ে একজন আরেকজনের মধ্যে এভাবে সংবাদ পাঠানোর উদ্যোগ নিচ্ছে। আমরা আশা করছি দীর্ঘ সময়ের জন্য এটা যোগাযোগ ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।