হামজা চৌধুরী। এশিয়ান ফুটবলের নতুন সেনসেশন তিনি। বাবা ক্যারিবীয় তথা গ্রেনাডিয়ান হলে মা বাংলাদেশের সিলেটের হবিগঞ্জের মানুষ। বর্তমানে মায়ের সঙ্গে থাকেন ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটির এই তারকা মিডফিল্ডার। শক্তিমত্তা, পাসিং দক্ষতা আর আক্রমণে উঠে আসার দক্ষতায় নজর কাড়লেও গেল বড়দিনের আগে হামজা চৌধুরীকে আগামী জানুয়ারিতে ধারে খেলতে পাঠাতে চেয়েছিল লেস্টার সিটি কোচ ক্লদ পুয়েল। সেই হামজাই ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার সিটি ও চেলসির বিপক্ষে অসাধারণ জয়ে অবদান রেখে পুয়েলের চাকরি বাঁচিয়েছেন। এরপরই হামজা চৌধুরীকে এশিয়ান ফুটবলের নতুন তারকা বলে সম্বোধন করেছে ইংলিশ মিডিয়া ডেইলি মেইল।
মাত্র ৭ বছর বয়সে লেস্টার একাডেমিতে যোগ দেন হামজা চৌধুরী। সেই থেকে দলে নিয়মিত খেলে চলেছেন। নেতৃত্ব দিয়েছেন ক্লাবের অনূর্ধ্ব–২৩ দলেরও। তার বয়স যখন মাত্র ১৬, তখনই তার দিকে নজর দেয় স্পেনের নামিদামি ক্লাবগুলো। গত নভেম্বরে টটেনহামের বিপক্ষে ২-১ গোলে জেতা ম্যাচে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নেমে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত হিসেবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার গৌরব অর্জন করেন হামজা চৌধুরী। এর আগে ২০১৬ সালে ধারে বার্টন অ্যালবিয়নের হয়ে খেলেছেন তিনি। সেখানেও দলকে লিগ ওয়ানে উন্নীত করায় ভূমিকা রেখেছেন।
কোচের সঙ্গে হামজা
চেলসির বিপক্ষে তাদের মাঠে হারানোর ম্যাচে নজরকাড়া পারফরম্যান্স দেখান হামজা চৌধুরী। ইংলিশ মিডিয়া ওই ম্যাচের আগে রিপোর্ট করেছিল ম্যাচটি না জিতলে কোচ পুয়েলকে বরখাস্ত করা হতে পারে। ১-০ গোলের জয়ে চাকরি বেঁচে যায় পুয়েলের। এরপর ‘বক্সিং ডে’ ম্যাচে ম্যানসিটিকে ২-১ গোলে হারানোর ম্যাচে শুরুর একদশে নেমে কোচের আস্থার প্রতিদান দেন।
বিডি-প্রতিদিন/২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮/মাহবুব