অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ শুরু হওয়ার আগে নানা তথ্য দিয়ে, নানা ভিডিও দেখে অজি বিশেষজ্ঞরা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন যে, বিরাটকে আউট করার রাস্তা তারা পেয়ে গেছেন। সেটা কোন রাস্তা? অফস্টাম্পের বাইরে ক্রমাগত ফুলার লেংথে বল রেখে ড্রাইভ করার জন্য প্রলোভনের টোপ ঝুলিয়ে যেতে হবে। তাতেই নাকি কোহলিকে আউট করার রাস্তা খুলে যাবে।
বিরাট কোহলি এ পর্যন্ত ৪ ইনিংস ব্যাট করেছেন চলতি সফরে। এর মধ্যে পার্থের বাউন্স ভরা উইকেটে ১২৩ রান করেছেন। বাকি ৩ ইনিংসে ততটা সফল হননি। কিন্তু লাগাতার অস্ট্রেলীয় বোলাররা বিশেষজ্ঞদের দেখানো পথে বিরাটকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
এর সঙ্গে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট মহল দুটি ব্যাপারে চিন্তিত ছিল। এক- অধিনায়ক বিরাট যদি শুরু থেকেই স্লেজিংয়ের রাস্তায় থাকতে চান, তখন অনভিজ্ঞ অস্ট্রেলিয়া দল কী করবে? দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন সভ্যভাবে ক্রিকেট খেলার পক্ষে রায় দিয়েছেন, তখন মাঠে গন্ডগোল তৈরির রাস্তায় যাওয়া যায় না। দুই- যদি বিরাট কোহলিরাও মাঠে মাথাগরম না করেন, তখন অস্ট্রেলিয়ার কী করা উচিত?
নবনির্বাচিত অধিনায়ক টিম পেইনকে এ ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অনেক সাবেক অধিনায়ক এবং ক্রিকেটাররা। তাদের মধ্যে যে ক’জন ছিলেন, টিম পেইন তাদের মধ্যে থেকে দু'জনের পরামর্শ আলাদাভাবে বেছে নিয়েছিলেন। তারা হলেন ডিন জোন্স ও রিকি পন্টিং।
ডিন জোন্স বলেছিলেন, ‘ঝগড়া করে লাভ নেই। বিরাট কোহলির সঙ্গে বন্ধুত্ব করে নাও। ওকে মাথা গরম করতেই দিও না। তাহলে দেখবে, অনেক শান্তিতে ক্রিকেট খেলতে পারবে।’
ঠিক উল্টো পরামর্শ দিয়েছিলেন রিকি পন্টিং। তিনি জানান, ‘সমানতালে বিরাটকে খুঁচিয়ে যেতে হবে, কথা বলে যেতে হবে। আক্রমণাত্মক শরীরী ভাষা দেখাও ওকে সবাই মিলে। ভারতীয় শিবিরকে বুঝিয়ে দাও যে, তোমরা স্টিভ স্মিথ, ওয়ার্নারদের অনুপস্থিতিতে মোটেই দুর্বল দল নও। যেই দেখবে তোমাদের শরীরে ও মনে আক্রমণাত্মক ভাষা এসেছে, দেখবে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে পারছ। এবং তোমাদের আত্মবিশ্বাসী হতে দেখে বিরাট ভেতরে ভেতরে অস্থির হয়ে পড়বে। যত বেশি অস্থির হবে, তত অস্ট্রেলিয়ার মঙ্গল।’
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত