সেই দিনের কেটে গেছে তিনটি বছর। কিন্তু এখনও সেই ক্ষতের ঘা তার মনে দগদগে। চেয়েছিলেন নায়ক হয়ে উঠতে। কিন্তু মাঝপথেই শেষ হয়ে গিয়েছিল তার সেই অভিযান। শুধু তাই নয়, হয়তো তার ফুটবল ক্যারিয়ারটাই শেষ হয়ে যেত ওই দিন।
এক স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের হয়ে সাবেক ক্লাব সতীর্থ জেরার্ড পিকের সঙ্গে মুখোমুখি হয়েছিলেন নেইমার। সেখানই বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি ২০১৪ সালের সেই কলম্বিয়া ম্যাচের দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। নেইমার বলেন, ‘যখন ও ট্যাকল করল, তখনই ব্যাপারটা বুঝতে পারিনি। কিন্তু প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছিল। মাথা তুলতে পারছিলাম না। শুনতে পাচ্ছিলাম মার্সেলো চেঁচিয়ে ডাক্তারদের আসতে বলছে। কিন্তু আমি ওকে বাধা দিয়ে বলছিলাম, না, আমি খেলতে চাই।’
এরপরেই ব্রাজিলীয় তারকার সংযোজন, ‘যন্ত্রণায় পাশ ফিরতে পারছিলাম না, পা নাড়াতে পারছিলাম না। ডাক্তারেরা এসে বাইরে নিয়ে গেলেন। চোখ ফেটে পানি বেরিয়ে এসেছিল তখন। পায়ে কোনও সাড় পাচ্ছিলাম না। বুঝতে পারছিলাম না, আদৌ আমার দুটো পা রয়েছে কি না।’
নেইমারকে এরপরেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই অভিজ্ঞতা ছিল আরও যন্ত্রণার। নেইমার জানান,‘আমার পা ভাঁজ করা ছিল। সোজা করতে গেলেই প্রচণ্ড যন্ত্রণা হচ্ছিল।’ ।
অবস্থা এতটাই গুরুতর ছিল যে, নেইমার ভেবেছিলেন ফুটবল খেলা তো দূর, তার হাঁটাচলাই বোধহয় চিরদিনের মতো বন্ধ হয়ে যেতে চলেছে। কিন্তু ডাক্তারদের কথায় প্রাণ ফিরে পেয়েছিলেন তিনি। নেইমার জানান, ‘ডাক্তারেরা বিভিন্ন পরীক্ষা করার পর বলেছিলেন, একটা ভাল আর একটা খারাপ খবর রয়েছে। আমি বাজে খবরটাই আগে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। ওরা বলেছিলেন, আমার বিশ্বকাপ অভিযান শেষ।’
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর