এডিলেডে ২৭ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম দিবারাত্রির টেস্ট। এই টেস্টেই ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম গোলাপি বল ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে দিবারাত্রির টেস্ট ও গোলাপি বল ব্যবহার নিয়ে যে বিতর্ক ছিল তা যেন অ্যাডিলেড টেস্টের মধ্য দিয়ে আরো দৃশ্যমান হলো। কারণ এই টেস্টে কোনো দলই এখন পর্যন্ত বড় রান গড়তে পারেনি। সফরকারী নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে করেছে ২০২ রান করতে সক্ষম হয়। দ্বিতীয় ইনিংসেও তাদের অবস্থা আরো খারাপ প্রতীয়মান হয়েছে। শেষ খবর পর্যন্ত কিউইরা তৃতীয় দিনের প্রথম সেশন পর্যন্ত ৮ উইকেটে হারিয়ে ১৮৫ রান সংগ্রহ করেছে। ফলে তাদের সামগ্রিক লিড দাঁড়িয়েছে ২ উইকেট হাতে রেখে ১৬৩ রান। স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া কিউইদের প্রথম ইনিংসে করা ২০২ রানের জবাবে তাদের প্রথম ইনিংসে ২২৪ রান তুলে। তাও কোনোভাবে টেস্ট ক্রিকেটে বড় কোনো ইনিংস নয়। ফলে অজিরা তাদের প্রথম ইনিংসে সফরকারীদের চেয়ে ২২ রানের লিড পায়। সফরকারীরা ২২ রানে পিছিয়ে থেকে তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করছে।
ঐতিহাসিক অ্যাডিলেড টেস্টে সফরকারী নিউজিল্যান্ড টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন ওপেনার লাথাম। অথচ পার্থে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি [২৯০ রান] হাঁকানো রস টেলর ও সেঞ্চুরি লাভকারী [১৬৬ রান] কেইন উইলিয়ামসন অ্যাডিলেড টেস্টে করেছেন যথাক্রমে ২১ ও ২২ রান। পার্থ টেস্টে এই দু'জনের চমৎকার ব্যাটিংয়ের উপর ভর করেই কিউইরা তাদের প্রথম ইনিংসে ৬২৪ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়েছিল। স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াও তাদের প্রথম ইনিংসে ৫৫৯ রান সংগ্রহ করেছিল। ফলে টেস্টটি ড্র হয়।
দিবারাত্রির টেস্ট নিয়ে শুরু থেকেই এর পক্ষে-বিপক্ষে মতামত দিয়েছেন অনেকে। কারো কারো মত ছিল, টেস্ট দিনের আলোতেই হওয়া উচিত। তা না হলে ক্রিকেটের এই ফর্মের স্বকীয়তা-ই নষ্ট হয়ে যাবে। কেউ কেউ আবার এর পক্ষেই সাফাই গেয়েছিলেন। অ্যাডিলেডে প্রথম দিবারাত্রির টেস্ট্রের বর্তমান হাল দেখে মনে হচ্ছে, এর বিপক্ষে যারা ছিলেন তাদের বক্তব্যই হয়তো সঠিক প্রতীয়মান হচ্ছে। কারণ এই টেস্টে প্রথম ইনিংসে উভয় দলই রানের খরায় ভুগেছেন। টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে এমনটি পরবর্তীতে যেসব দিবারাত্রির টেস্ট হবে সেগুলোতেও এমনটি হয় কিনা সময়-ই হয়তো তা বলে দিবে।
বিডি-প্রতিদিন/২৯ নভেম্বর ২০১৫/শরীফ