ক্রিকেট জুয়ায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আবারও গ্রেফতার হয়েছেন ভারতীয় নাগরিক অতনু দত্ত। গতকাল সকালে মিরপুর-১০ নম্বর থেকে দুপুর পৌনে ২টায় অতনুকে পুলিশ গ্রেফতার করে বলে জানিয়েছেন মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন। তিনি জানান, আজ (সোমবার) তাকে আদালতে সোপর্দ করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।
সদ্যসমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলার সময় ৩ এপ্রিল বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়ার চেষ্টাকালে প্রথমবার গ্রেফতার হন অতনু। গত ৩১ মার্চ তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। অতনুর সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) দুর্নীতিবিরোধী ও নিরাপত্তা ইউনিটের (অ্যান্টিকরাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিট, আকসু) আঞ্চলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপক ধরমবীর সিং যাদবের কথোপকথনের তথ্য পাওয়ার দাবি করেছে র্যাব। এর আগে ২১ মার্চ ভারত-পাকিস্তান খেলার সময় সন্দেহবশত গোয়েন্দারা তাকে মিরপুর স্টেডিয়ামে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছিলেন। তখন ধরমবীর সিং যাদব তাকে ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেন। তিনি দাবি করেন, অতনু ম্যাচ ফিক্সিং (পাতানো) বিষয়ে তার একজন তথ্যদাতা। ওই সময় আকসুর প্রধান যোগীন্দ্র পল সিংও উপস্থিত ছিলেন। তখন র্যাব অতনুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়।
জানা গেছে, ব্যবসায়ী পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে আসেন অতনু। নিজেকে 'ক্রিকেট ফ্যান' পরিচয় দিয়ে মিরপুরের গ্র্যান্ড প্রিন্স হোটেলে ওঠেন। পাসপোর্টে তার পিতার নাম মনীন্দ্র দত্ত। ঠিকানা দেওয়া আছে, কলকাতার রিজেন্ট পার্ক এলাকার ৯৯ নম্বর সড়কের ড্রিমটপ রেসিডেন্সি। ২৪ মার্চ নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার খেলা নিয়ে বেটিং করার অপরাধে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের লুধিয়ানা শহরের একটি বাড়ি থেকে ৩৬টি মোবাইলসহ চার যুবককে গ্রেফতার করে লুধিয়ানা পুলিশ। পাঞ্জাব পুলিশের কাছে বেটিংয়ের কৌশলও প্রকাশ করে তারা। সে খবর আসে আকসুর কাছে। ঢাকায় অবস্থানরত আকসু কর্মকর্তারা তা সরাসরি র্যাবকে জানান। বিপিএল কেলেঙ্কারির সময়ও আকসু তদন্তের জন্য সরাসরি র্যাবের সহায়তা নিয়েছিল। র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহ্সান জানান, ঢাকায় বসে বাজিকররা তৎপরতা চালাচ্ছেন এবং খেলার মাঠ থেকে তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা হচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে মাঠে নজরদারি শুরু করে র্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।