রিয়াল মাদ্রিদ এবং বায়ার্ন মিউনিখ। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দুই অভিজাত ক্লাব। অতীতে দুই দলই ক্লাসিক্যাল ফুটবল উপহার দিয়েছে ভক্তদের। সে লড়াইয়ে বায়ার্ন মিউনিখ এগিয়ে থাকলেও রিয়াল মাদ্রিদও খুব পিছিয়ে ছিল না। ২০০০ সালের পর থেকে দুই দলের ১৪ বারের লড়াইয়ে পাঁচবার জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। বায়ার্ন মিউনিখ জিতেছে আটবার! চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অভিজাত দুটি ক্লাবই শেষ চারে এবার মুখোমুখি হচ্ছে। এ ছাড়াও শেষ চারে মুখোমুখি হচ্ছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ-চেলসি। উয়েফা ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে সেভিয়া-ভ্যালেন্সিয়া এবং বেনফিকা-জুভেন্টাস।
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ ও বায়ার্ন মিউনিখের মুখোমুখি হওয়ার বিষয়টি নতুন কিছু নয়। ২০০০, ২০০১ এবং ২০১২ সালেও দুই দল সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে দুবার সফল হয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। ২০০০ সালের সেমিতে সফল হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। সেবার চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল লস ব্ল্যাঙ্কোসরা। এরপর ২০০১ ও ২০১২ সালে রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে ফাইনাল খেলেছিল বায়ার্ন মিউনিখ। এর মধ্যে ২০০১ সালে বায়ার্ন চ্যাম্পিয়ন হলেও ২০১২ সালে চেলসির কাছে হেরে রানার্সআপ হিসেবেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের। আরও একবার ভক্তদের সামনে সুযোগ এলো রিয়াল মাদ্রিদ এবং বায়ার্ন মিউনিখের ক্লাসিক যুদ্ধ দেখার। লড়াইটা তো হবে সেয়ানে সেয়ানেই। দুটো দলেরই মূল শক্তি গতি।
এবারের ইউরোপিয়ান লড়াইয়ে স্প্যানিশদের আধিপত্য। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদ এবং অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ খেলছে সেমিফাইনাল। বায়ার্ন মিউনিখ এবং চেলসিকে টপকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এবার অল স্প্যানিশ ফাইনাল খেলতে পারে মাদ্রিদের দুই ক্লাব। সেক্ষেত্রে অল মাদ্রিদ ফাইনালও বলা যেতে পারে! ইউরোপা লিগের সেমিতে আছে স্প্যানিশ ক্লাব সেভিয়া এবং ভ্যালেন্সিয়া। তবে এক দলকে শেষ চার থেকেই বিদায় নিতে হবে। ভ্যালেন্সিয়ার মুখোমুখি হচ্ছে সেভিয়া। অন্য সেমিফাইনালে জুভেন্টাস মুখোমুখি হচ্ছে বেনফিকার।
আগামী ২২ এপ্রিল সেমিফাইনালের প্রথম লেগে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মাঠে খেলতে যাবে চেলসি। ২৩ এপ্রিল সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে প্রথম লেগে মুখোমুখি হবে বায়ার্ন মিউনিখ। ইউরোপা লিগের সেমিতে প্রথম লেগে সেভিয়ার মাঠে ২৪ এপ্রিল খেলতে যাবে ভ্যালেন্সিয়া। একই দিনে বেনফিকার মাঠে খেলতে যাবে জুভেন্টাস।