ফাইনাল ম্যাচটা শ্রীলঙ্কার কাছে সব সময় দুঃস্বপ্নের মতো। টি-২০ বিশ্বকাপের পাঁচ আসরের মধ্যে এবার নিয়ে মোট তিনবার ফাইনালে উঠল লঙ্কানরা। ২০০৯ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এবং গত আসরে ঘরের মাঠে তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে হেরেছে। এবার প্রতিপক্ষ ভারত হলেও স্বস্তিতে নেই লঙ্কানরা। কেননা তাদের যত দুর্বলতা ভারতের বিরুদ্ধেই। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালেও তারা ভারতের কাছে হেরেছে। তবে এবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। বাংলাদেশের কন্ডিশন যেন দুহাত উজাড় করে লঙ্কানদের সব কিছু দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। এখানেই সেই দুই মাস থেকে একের পর এক ম্যাচ জিতছে শ্রীলঙ্কা। দ্বিপক্ষীয় সিরিজে বাংলাদেশকে নাস্তানাবুদ করার পর পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে। সেমিফাইনালে গেইলদের হারিয়ে গত বিশ্বকাপের ফাইনালে হারার প্রতিশোধ নিয়েছে। আজ ফাইনালে মুখোমুখি হওয়ার আগে আরেকটি তথ্য বেছে আত্মপ্রত্যয়ী হতে পারেন লঙ্কানরা, টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে এই ভারতকে তারা হারিয়েছে। তবে কাল সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তুতি ম্যাচকে টেনে এনে আত্মবিশ্বাসী হতে চাইলেন না লঙ্কান অধিনায়ক ল্যাসিথ মালিঙ্গা। তিনি বলেন, 'প্রস্তুতি ম্যাচ তো প্রস্তুতি ম্যাচই। ওই ম্যাচের সঙ্গে ফাইনালের কোনো সম্পর্ক নেই। এটা অনেক বড় ম্যাচ। অনেক বেশি চাপ-টেনশন থাকে। অভিজ্ঞতা প্রয়োগ করে বুদ্ধিমত্তা দিয়ে খেলতে হয়।' ল্যাসিথ মালিঙ্গা স্বরূপে থাকলে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের কপালে দুঃখই আছে। তার ইয়র্কার ফিরিয়ে দেওয়া যেকোনো ব্যাটসম্যানের জন্যই কঠিন। নিজের পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে মালিঙ্গা বলেন, 'শুধু নিজের জন্য নয়, পুরো ২০ ওভারের জন্যই আমাদের পরিকল্পনা আছে। ভারত এই টুর্নামেন্টে অপরাজিত দল। তাদেরকে আটকানো সহজ কথা নয়। তবে এটা তো ঠিক, টি-২০তে যেকোনোই দলই যেকোনো দিন জেতার সামর্থ্য রাখে। তবে আমাদের লক্ষ্য থাকবে ম্যাচে ভুল যত কম করা যায়। কেননা ভুল যত কম হবে জয়ের সম্ভাবনা তত বেশি হবে।'
ইতোমধ্যেই শ্রীলঙ্কা দলের জন্য বড় অঙ্কের পুরস্কার ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। কিন্তু মালিঙ্গা জানালেন, পুরস্কার কিংবা অর্থের জন্য নয়, তারা খেলবেন দেশের জন্য। দেশকে তুলে ধরাই তাদের লক্ষ্য। তবে দুই গ্রেট তারকা ব্যাটসম্যানের বিদায় ম্যাচ বলে ফাইনালকে স্মরণীয় করে রাখার কথা বলেন মালিঙ্গা। লঙ্কান দলপতি জানান, 'তারা দুজন শ্রীলঙ্কাকে অনেক কিছু দিয়েছেন। এই ম্যাচ জিতে তাদের জন্য বিশেষ কিছু একটা করে রাখতে চাই।'