বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন, মুম্বাই এ বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়।
এ উপলক্ষ্যে উপ-হাইকমিশন-এর উদ্যোগে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়। দিবসের প্রথমভাগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, স্বাধীনতার শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, বিশেষ মোনাজাত, দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়।
জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে মুম্বাই-এ বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার চিরঞ্জিব সরকার দিবসের সূচনা করেন। বিশেষ মোনাজাতে স্বাধীনতা সংগ্রামের সকল শহীদসহ জাতির পিতার মহান আত্মার এবং তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। এ সময় দেশ ও জাতির শান্তি, উন্নতি এবং চলমান বিশ্ব অস্থিতিশীল পরিস্থিতি হতে উত্তরণ কামনা করে দোয়া করা হয়।
আলোচনা সভায় মুম্বাই-এ নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার বাঙ্গালি জাতির মুক্তির সংগ্রামে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন আত্মদানকারী বীর শহীদদের, জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সমর্থক, বিদেশি বন্ধু, যুদ্ধাহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যসহ সর্বস্তরের জনগণকে, যাঁরা আমাদের বিজয় অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন। উপ-হাইকমিশনার প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকগণকে জাতির অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য সচেতনভাবে কাজ করা এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে আমাদেরকে স্বাধীনতার চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে।
বিজয় দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে সন্ধ্যায় স্থানীয় উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গনে ’বিজয় দিবস সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার’ আয়োজন করা হয়। এ আয়োজনে স্থানীয় নিত্যাঞ্জলী নামক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পরিবেশনায় দেশাত্মবোধক সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে মুম্বাই-এ বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী, মুম্বাই-এর ডিপ্লোমেটিক কোরের প্রতিনিধি এবং বিশিষ্ট আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর (অবসরপ্রাপ্ত) বেশ কয়েকজন সদস্য, স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, উপ-হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে আগত অতিথিদের বাঙ্গালি খাবারে আপ্যায়িত করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন