বুয়েট অ্যালামনাই অস্ট্রেলিয়ার বার্ষিক সাধারণ সভা গত ১০ ডিসেম্বর (শনিবার) সিডনির রকডেলের রেড রোজ ফাংশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুরুতেই অস্ট্রেলিয়ার ভূমির উত্তরাধিকারদের স্মরণ করা হয়। এরপর অস্ট্রেলিয়া এবং বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয় এই আয়োজন।
শুরুতেই বিদায়ী কমিটির পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য দেয়া হয়। এরপর বিদায়ী কমিটি তাদের কর্মসূচির উপর একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে গত দুই বছরের অভিজ্ঞতা এবং অর্জনের কথা তুলে ধরেন। এরপর নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম এবং শাহিনুল ইসলাম প্লাবন মঞ্চে এসে নির্বাচনের উপর বক্তব্য রাখেন এবং নির্বাচিত নবগঠিত কমিটিকে মঞ্চে আহ্বান করেন।
নবগঠিত কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক একটি প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তাদের মিশন এবং ভিশনের কথা তুলে ধরার পাশাপাশি নতুনদের পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর বুয়েট ৭২ ব্যাচের গোলাম আজমল তার ছেলে সামি আজমলের অকাল প্রয়াণে শোকাবহ বক্তব্য দেন। এরপর তিনজন বুয়েটিয়ানের মৃত্যুতে তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতে রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন করেন বুয়েটের দ্বিতীয় প্রজন্মের ফারহিন। এরপর সংগীত পরিবেশন করেন প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী অমিয়া মতিন। এরপর প্রবাসী বুয়েটিয়ানদের দ্বিতীয় প্রজন্মের ব্যান্ড ‘ডায়াস্পোরা’ তাদের পরিবেশনা নিয়ে মঞ্চে আসেন। বুয়েটের এবং পরবর্তী প্রজন্মের স্বেচ্ছাসেবকদের বিভিন্ন পদক প্রদান করা হয়। অন্যান্য পদকের পাশাপাশি এ বছর ‘বুয়েটিয়ান এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয় স্থপতি ইফতেখার আব্দুল্লাকে। এরপর বাংলাদেশের ৫১তম বিজয় দিবস উপলক্ষে সবাই মিলে কেক কাটা হয়।
নবগঠিত কমিটির সদস্যরা হলেন-নিশাত সিদ্দিক (সভাপতি), ফেরদৌস আহমেদ (সহসভাপতি, প্রোগ্রাম এবং ডেভেলপমেন্ট), ফারহানা রিফাত (সহসভাপতি, যোগাযোগ এবং পাবলিক রিলেশন), মোহাম্মদ সোহেল (সাধারণ সম্পাদক), হাসিব শেখ (সহসাধারণ সম্পাদক), মাশফিকুর রহমান (কোষাধ্যক্ষ), সাদিয়া তাবাস্মুম (সহকোষাধ্যক্ষ), শরীফা শারমিন (সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক), মো. ইয়াকুব আলী (প্রকাশনা সম্পাদক), এ এম সাফফাত-ঈ হক (প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট), ইয়ামিন রাজীভ (মেম্বার সার্ভিসেস)। নবগঠিত কমিটির উপদেষ্টারা হলেন-মাহমুদা মামুন, সানিয়া শারমিন, সৌমেন চক্রবর্তী ও পারভেজ এহসান। পুরো অনুষ্ঠানের উপস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন বুয়েটের ১৯৯৮ ব্যাচের ইয়ামিন রাজীব।
বিডি প্রতিদিন/এমআই