মহান বিজয় দিবসের ৫০ বছরে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর সমাপনী উদযাপন করেছে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, ইস্তাম্বুল। গত ১৭ই ডিসেম্বর তুরস্কের একটি পাঁচতারকা হোটেলে 'বাংলাদেশ নাইট' এর আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে তুরস্কের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়িবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং প্রবাসী বাংলাদেশিসহ প্রায় দুশত অতিথি অংশগ্রহণ করেন।
স্বাগত বক্তব্যে কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার দূরদর্শী নেতৃত্বে বিশ্বমানচিত্রে বাংলাদেশ নামক দেশটির জন্ম হয়েছিল। তিনি আরো স্মরণ করেন, মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের যাদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা।
কনসাল জেনারেল তুর্কি সহকর্মী ও বন্ধুগণকে আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশের এ উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অংশীদার হতে। ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের দু′দেশের সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব এখন অনেক শক্তিশালী ও সম্প্রসারিত। এ সপ্তাহে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর তুরস্কের সফরের মধ্যদিয়ে এ সম্পর্ক আরো এক ধাপ এগিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সফরের সময় আংকারায় বঙ্গবন্ধুর নামে একটি পার্ক নামকরন করা হয়েছে এবং বঙ্গবন্ধুর জ্যাদ্দেসিতে বঙ্গবন্ধুর একটি আবক্ষ ভাস্কর্য উন্মোচিত হয়েছে যা দুই দেশের মধ্যকার ভ্রাতৃপ্রতিম সম্পর্ককে আরো জোরদার করবে বলে, তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আগামী বছর সুবিধাজনক সময়ে তুরস্কের মহামান্য রাষ্ট্রপতি রেজেপ তাইপ এরদোয়ানের বাংলাদেশ সফরের মধ্যদিয়ে দু′দেশের সম্পর্ক নব উচ্চতা ও নতুন মাত্রা লাভ করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কনস্যুলেট ইস্তাম্বুলের উদ্যোগে ও শাকিল রেজা ইফতির পরিচালনায় নির্মিত তুরস্কে বঙ্গবন্ধু প্রামাণ্যচিত্রটি প্রদর্শন করা হয়।উল্লেখ্য, এটিই বঙ্গন্ধুর উপরে তুর্কি ভাষায় নির্মিত প্রথম প্রামাণ্যচিত্র যেখানে তুর্কির প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ, লেখক, সাংস্কৃতিক ও ব্যবসায়িবৃন্দ, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে তার ভাবনা ও অনুভূতির কথা ব্যক্ত করেছেন । বঙ্গবন্ধুর ছবি নিয়ে আয়োজিত 'বঙ্গবন্ধুর ফটো প্রদর্শনী' দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পর্বে বাংলাদেশ ও তুর্কি শিল্পীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয় যেখানে বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে মূল আকর্ষণ ছিল বাংলাদেশ থেকে আগত জনপ্রিয় চিত্রতারকা অনন্ত জলিল ও চিত্রনায়িকা বর্ষা, যাদের অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানের আনন্দের মাত্রা বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। এ উদযাপনকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য কেক কেটে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল