বাংলাদেশ হাইকমিশন নয়া দিল্লি বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপযাপন করেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে ছিল প্রাণের উৎসব। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে সকালে দূতাবাস চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. নুরল ইসলাম। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ, বিমান বাংলাদেশের দিল্লিতে কর্মরত কর্মকর্তারা এবং দিল্লির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীরাও কর্মসূচিতেও অংশ নেন।
পতাকা উত্তোলনের পর দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্ণারে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পাঞ্জলি দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু হল মিলনায়তনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এক আলোচনার সভার আয়োজন করা হয়। স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত বীর শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে ১ মিনিট নীরবতার মধ্য দিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
রাষ্ট্রপতির বাণী শাবান মাহমুদ, মিনিস্টার (প্রেস), প্রধানমন্ত্রীর বাণী ড. এ. কে. এম আতিকুল হক, মিনিস্টার (বাণিজ্য), পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী মোহাম্মদ রাশেদুল আমীন, কাউন্সেলর (ইকনমিক) এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী আব্দুল ওয়াদুদ আকন্দ পাঠ করে শোনান। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বিজয় দিবসের আলোচনায় অংশ নেন সেলিম মো. জাহাঙ্গীর, মিনিস্টার (কনস্যুলার)।
ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার মো. নুরল ইসলাম তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও গতিশীল নেতৃত্বের কারণে স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারে এক অনন্য উচ্চতায়। তিনি বলেন, আজকের বাংলাদেশ আত্মপ্রত্যয়ী বাংলাদেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি আধুনিক, সুশিক্ষিত, বিজ্ঞানমনস্ক ও উন্নত দেশের মর্যাদায় অভিসিক্ত হওয়ার লক্ষ্যে আমরা জোর কদমে এগিয়ে যাচ্ছি।
পরে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ অন্যান্য সদস্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের আত্মার শান্তি ও বাংলাদেশের সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিচালিত সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের শপথ অনুষ্ঠানে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ ও শপথবাক্য পাঠ করেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ