কুয়েতে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর এই বছরে বিজয় দিবস বাংলাদেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য বহন করে। বঙ্গবন্ধু শুধু দেশকে স্বাধীনতা অর্জনে নেতৃত্বই দেননি, তিনি দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে একটি শক্ত ভিতও তৈরি করে দিয়েছিলেন। তিনি এ দেশের মানুষকে জাতিসত্ত্বার পরিচয় এনে দিয়েছেন। সেই হিসেবে এবছর দিবসটি দেশ-বিদেশে নানা উৎসাহ-উদ্দীপনায় ঝাঁকজমকভাবে পালন করা হচ্ছে।
এ উপলক্ষে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাস বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত, বাণীসমূহ পাঠ, দিবসের উপর আলোচনা, রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য, বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধন ও পরিদর্শন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সম্মানে এক মিনিট নীরবতা পালন, দোয়া এবং মোনাজাত।
১৬ ডিসেম্বর সকালে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। পতাকা উত্তোলন করেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান। পরে দূতাবাসের মাল্টিপারপাস হলে আলোচনা সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আলোচনা সভা শুরু হয়। এসময় রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন প্রতিরক্ষা অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নাসের, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কাউন্সিলর (শ্রম) আবুল হোসেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন প্রথম সচিব জহিরুল ইসলাম খান ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান নিয়াজ মোর্শেদ।
আলোচনায় রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান বলেন, ‘যার হাত ধরে সারা জীবন সংগ্রামের মাধ্যমে আপামর জনগণ একটি গর্বিত স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে বিশ্বের কাছে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি সেই মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি ও সকল শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।’ এসময় তিনি বর্তমান সরকারের বিভিন্ন সফলতার চিত্র তুলে ধরেন।
প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মহান বিজয় দিবসের গৌরব ও তাৎপর্য নিয়ে বক্তব্য দেন প্রবাসীরা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করেছে কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে। বঙ্গবন্ধু কর্নারে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ভিত্তিক ছবি, তথ্যচিত্র এবং দলিলাদির প্রদর্শন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কর্নারের মাধ্যমে বিদেশিরাও বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে পারবে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক