শুধু বক্তৃতায় মেহনতি মানুষের কথা বললে হবে না। তাদের জীবন মান উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ। তিনি বলেন, সৌদি আরবে কর্মরত বাংলাদেশিদের কল্যাণে দূতাবাস প্রতিনিয়ত ফাইট করে যাচ্ছে। নারী গৃহকর্মীদের জন্য রিয়াদ, জেদ্দা এবং মদীনায় সেল্টার হোম স্থাপন করা হয়েছে। ২২ লক্ষ বাংলাদেশির জন্য ৪০ জন কর্মকর্তা কাজ করছে যা অত্যান্ত কঠিন। ঢাকায় কথা বলেও জনশক্তি বাড়ানো যাচ্ছে না। তারপরেও স্থানীয়ভাবে কিছু লোক নিয়োগ দেয়া হয়েছে এবং তারা খুব ভালোভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, অনেক এজেন্সি সামান্য লাভের আশায় অক্ষম-অযোগ্য নারীদের বিদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে। শুধু ক্লিনার বা লেবার নয় বিদেশে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনশক্তি পাঠানোর আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, গত ৫ বছরে সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রদেশে এক ডজনের বেশি বিশ্ববিদ্যালয় ভিজিট করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর রেকটরদের সাথে বাংলাদেশিদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। সবাই বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশীপের কোটা বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন অনেক বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ তাদের দেয়া আশ্বাস বাস্তবায়ন করেছেন। সৌদি আরবের বাংলা স্কুলগুলোতে গিয়ে সেখানে অধ্যয়রত ছাত্রছাত্রীদেরকে পড়াশুনায় অনুপ্রেরণা দেয়া এবং স্থানীয় নিয়মনীতি সম্পর্কে অবহিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
৪৯তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রিয়াদের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের নিয়ে আলোচনা সভা ও নাট্যানুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ এসব কথা বলেন।
কাউন্সিলর ও কার্যালয় প্রধান ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন দূতাবাসের মিশন উপ প্রধান ড. নজরুল ইসলাম, মিনিস্টার সৈয়দ এসএম আনিসুল হক। প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাঈদ সিদ্দিকী, কাউন্সিলর (শ্রম কল্যাণ) মো: মেহেদী হাসান, কাউন্সিলর (স্থানীয়) মো: আসাদুজ্জামান, প্রথম সচিব (প্রেস) মো: ফখরুল ইসলাম, প্রথম সচিব বেলাল হোসেন, সোনালী ব্যাংকের এজিএম জসিম উদ্দিনসহ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন কিং সৌদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. রেজাউল করিম মিলন, ড. কাজী মুহসিন, সাইফুল ইসলাম, গোলাম মোহাম্মদ, ড. আনোয়ার হোসেন, ডাক্তার মাহমুদ উদ জামান, ডাক্তার তাহসিনুল হক। ছাত্রদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন, কিং সৌদ বিশ্ববিদ্যালয়ের তামজীদ রহমান, তাজুল ইসলাম কাউছার, জাহিদ আল হাসান, মুমিন রহমান, আল ফয়সাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারিয়া এরশাদ। এসময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে ফটোসেশনে অংশ নেন রাস্ট্রদূত গোলাম মসিহ এবং তার সহধর্মীনি।
অনুষ্ঠানে কিং সৌদ বিশ্ববিদ্যালয়, আল ইমাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, আল ফয়সাল বিশ্ববিদ্যালয়, আল ইয়ামামা বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রিন্স সুলতান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে রিয়াদ বাংলাদেশ থিয়েটারের পরিবেশনায় রাশেদ আল কারিম সজিব এর রচনায় 'রেমিট্যান্স যোদ্ধা' নাটক মঞ্চস্থ হয়।
সারোয়ার জাহান সিদ্দিকীর নির্দেশনায় নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন কামরুজ্জামান, আরিফুর রহমান টিটু, মো. জাহাঙ্গীর আলম হৃদয়, নাজিম উদ্দিন, মির্জা কামাল, মসী সিরাজ, হাফিজুল ইসলাম পলাশ, মামিতা ইসলাম, সুমাইয়া আক্তার, সাদিয়া, রাহিল, রোনক, শীতল, কমল, আবহসংগীত মঞ্জুর আল ইসলাম, মোহাম্মদ মানিক, রফিক মন্ডল, আলোকসজ্জা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল