কাতারের জাতীয় দিবসে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ কমিউনিটির জেলা ভিত্তিক বিভিন্ন টিম। দোহার কর্নিশে জাতীয় থিম প্যারেডে সশস্ত্র বাহিনীর অংশগ্রহণ ছিল অন্যতম আকর্ষণ।
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি মূল অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন। এ সময় মন্ত্রিপরিষদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে বিভিন্ন মহড়া উপভোগ করেন।
রাজতন্ত্রের দেশ কাতারের কর্নিশ রোডে আতশবাজি অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে বিএনপি'র সমর্থকরা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। ফলে তীব্র যানযটের পাশাপাশি হঠাৎ স্লোগানে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন। মিছিলটি বেশ কয়েকটি রাস্তা প্রদক্ষিণ করেন।
এসব মিছিলের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে প্রবাসীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। আরব দেশগুলোতে রাস্তায় নেমে মিছিল করার নিয়ম নেই। যদিও ২০১৮ সালের কাতারের জাতীয় দিবসে একই সময় বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে নৌকা ও ধানের শীষের পক্ষে মিছিল বের করেছিল দুই দলের সমর্থকরা।
এ বিষয়ে টেলিফোনে জানতে চাইলে কাতার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল হক সাজু বলেন, দলীয় ভাবে মিছিল করার কোনো কর্মসূচি ছিল না কাতার বিএনপির। বিষয়টি আমাকে অনেক সংবাদ কর্মী অবগত করেছেন। এটা কিভাবে সম্ভব? মিছিল করা মোটেও ঠিক হয়নি।
কাতার আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, কাতার একটি শান্তি প্রিয় দেশ। এসব দেশে এমনিতেই রাজনীতি নিষিদ্ধ। যে দলই করুক না কেন এটি কারো জন্য কাম্য নয়।
অন্যদিকে বাংলাদেশ কমিউনিটি সভাপতি প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন আকন বলেন, যে দেশে রাজনীতি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, সেখানে মিছিল নিয়ে রাস্তায় নামে কিভাবে? অথচ বাংলাদেশ কমিউনিটি প্রবাসে বাংলাদেশের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন