ইউএস কমিটি ফর সেক্যুলার-ডেমোক্রেটিক বাংলাদেশ’র সেক্রেটারি জাকারিয়া চৌধুরী এক বিবৃতিতে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, 'ইসরায়েলি রাজনীতিক ও ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক লবিং ফার্ম' দ্য সাফাদি সেন্টার ফর পাবলিক ডিপ্লোমেসি এ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল’ এর প্রধান মেন্দি সাফাদিকে নিউইয়র্কে ট্রাম্প টাওয়ারের সামনে প্রবাসের হিন্দু সম্প্রদায়ের সমাবেশে দেখা গেল। এ সময় তার হাতে ছিল ‘স্টপ হিন্দু পারসিকিউশন’ লেখা একটি পোস্টার। ঘটনাটি বিস্ময়ের অবশ্যই।’
‘তাহলে প্রবাসের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনও কি বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের সহযোগী হয়ে রাজপথে নেমেছেন’ প্রশ্ন জাকারিয়া চৌধুরীর।
বিবৃতিতে তিনি অবশ্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সেক্রেটারি স্বপন দাসসহ নেতৃবৃন্দকে। কারণ, তারা ইতিমধ্যেই এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বিবৃতি দিয়েছেন।
জাকারিয়া চৌধুরী বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুসহ সকল নাগরিকের নিরাপত্তায় বদ্ধ পরিকর বর্তমান সরকার। সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেও সরকার কঠোর পন্থা অবলম্বন করেছে। এতদসত্বেও তারা কেন ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ চাচ্ছেন? তাহলে তারাও কি বাংলাদেশের সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্তদেরই মদদ দিচ্ছেন?’
বাংলাদেশী হিন্দুদের সমাবেশে ইসরায়েলি নাগরিক মেন্দি সাফাদির অংশগ্রহণের ঘটনায় গোটা কম্যুনিটিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
গত ২৭ নভেম্বর রবিবার দুপুরে এ সমাবেশ হয় ম্যানহাটানে ট্রাম্প টাওয়ারের সামনে। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয় এ সমাবেশ থেকে। ৩০ জনের মত প্রবাসী হিন্দু ছিলেন সেখানে।
একই দাবিতে তারা ১১ ডিসেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউজের সামনেও মানববন্ধনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।