দারিদ্র বিমোচনের সহায়ক কর্মসূচি গ্রহণ এবং সে সব কর্মসূচিতে সর্বসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে অবিস্মরণীয় ভূমিকা পালনের জন্যে হাইতির সাবেক প্রধানমন্ত্রী লোরেন্ট এস ল্যামথিকে অ্যাওওয়ার্ড দিল ফ্লোরিডাস্থ ‘এসোসিয়েশন অব বাই-ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স’ (এবিআইসিসি)।
গত সপ্তাহে ফ্লোরিডার করাল গ্যাবলসে বিল্টমোর হোটেলের মিলনায়তনে বর্ণাঢ্য এক অনুষ্ঠানে এ অ্যাওয়ার্ড হস্তান্তর করা হয়। বিশ্ব-বাণিজ্যে বিশেষ অবদানের জন্যে ৫২ দেশের প্রতিনিধিত্বকারি এ এসোসিয়েশনের অ্যাওয়ার্ড প্রদানের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যাক্তারাও ছিলেন।অারও ছিলেন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ।
১৯৯৯ সাল থেকে প্রবর্তিত হয়েছে এই অ্যাওয়ার্ডটি। সুইডিশ আমেরিকান চেম্বার অব কমার্সের প্রতিনিধি লিটা হ্যাগার হচ্ছেন এ সংস্থার প্রেসিডেন্ট এবং এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন বাংলাদেশ-আমেরিকা চেম্বার অব কমার্সের আতিকুর রহমান। তারাসহ এ সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা সম্মিলিতভাবে অ্যাওয়ার্ড হস্তান্তর করেন। এ সময় লোরেন্ট এস ল্যামথি তার বক্তব্যে বাংলাদেশের সাথে হাইতির বানিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, হাইতির পুনর্গঠনসহ সামাজিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সৈন্যরা ২০০৪ সাল থেকেই কাজ করেছে। সর্বশেষ ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হাইতি পুননির্মাণেও বাংলাদেশের সৈন্যদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তিনি বলেন, আমার শাসনামলেই (২০১২-২০১৪) বাংলাদেশ ও হাইতির মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক নানা বিষয়ে চুক্তি হয়েছে। এখনও তা অব্যাহত রয়েছ্।ে এ সময় তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত জেনারেল মঈনের প্রতিও গভীর কৃতজ্ঞতা জানান।
প্রবাসী নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন হোস্ট সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কম্যুনিটি লিডার আব্দুল ওয়াহিদ মাহফুজ, ফোবানার ৩১তম বাংলাদেশ সম্মেলনের কনভেনর এম রহমান জহীর, বাংলাদেশ-আমেরিকা চেম্বারের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেক্রেটারি ও কম্যুনিটি লিডার নওশাদ চৌধুরী প্রমুখ।
বার্ষিক এ গালা ডিনারে সমবেতরা নিজ নিজ দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে মতবিনিময় করেন। সে সময় যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, অস্ট্রেলিয়ানরা বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির প্রশংসা করে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এ ব্যাপারে সংস্থাটির এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আতিকুর রহমান বলেন, ইতিপূর্বে বেশ কয়েকটি দেশের ব্যবসায়ীকে বাংলাদেশে নিয়ে গেছি। আরও একটি প্রতিনিধি দল শীঘ্রই যাবেন। বাংলাদেশ সরকারকে আরও উদার হতে হবে বিদেশি বিনিয়োগকারিদের আগ্রহ ধরে রাখতে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৩ নভেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ-০১