কানাডার অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস উদযাপন করেছে। এ উপলক্ষে গত রবিবার সন্ধ্যায় কার্লটন ইউনিভার্সিটির কৈলাশ মিতাল থিয়েটারে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সভায় স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য আত্মদানকারী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে হাই কমিশনার কামরুল আহসান বলেন, তাদের আত্মত্যাগে অর্জিত বিজয় তখনই অর্থবহ হয়ে উঠবে যখন আমরা প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় একটি শক্তিশালী অর্থনীতির ওপর দাঁড়াতে পারবো। তিনি দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় প্রবাসী বাংলাদেশীদেরও গভীরভাবে সম্পৃক্ত হবার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে তুলে ধরা আমাদের সকলের কর্তব্য।
অনুষ্ঠানের শুরুতে '৫২-র মহান ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুথান, ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ এবং ১৯৭৫ এর কালরাতে শহীদ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, তার পরিবারবর্গ এবং সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ঢাকা থেকে পাঠানো রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান বাংলাদেশ হাই কমিশনের কাউন্সিলর নাইম আহমেদ, প্রথম সচিব মাকসুদ খান, প্রথম সচিব মো. আলাউদ্দিন ভুঁইয়া এবং প্রথম সচিব অপর্ণা রাণী পাল।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ১৯৭১ -এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ এবং চূড়ান্ত বিজয়ের চিত্র গান নাচ ও কবিতার মাধ্যমে পরিবেশন করেন অটোয়ার প্রথিতযশা শিল্পীরা। সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী অং সুয়ে থোয়াই, নার্গিস আক্তার রুবি, মইনুল আহসান, সিতারা আহসান কঙ্কন, ডালিয়া ইয়াসমীন, ফারজানা মাওলা অজন্তা, শারমিন সিদ্দিক শামা, শিশির শাহনেয়াজ, দেওয়ান মাহমুদ এবং আরেফিন কবীর। কবিতা আবৃত্তি করেন সুলতানা শিরীন সাজী, মাসুদুর রহমান, মাকসুদ খান এবং শিশির শাহনেওয়াজ। যন্ত্রসঙ্গীতে ছিলেন সাদী রোজারিও (তবলা) এবং আরেফিন কবীর (কিবোর্ড ও গিটার)। নৃত্য পরিবেশন করেন আফরোজা খান লিপি, কারিনা দত্ত এবং শিশু শিল্পী লারিসা ও আঁচল। 'একাত্তরের দিনালেখ্য" উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার রেজাউর রহমান। অনুষ্ঠান গ্রন্থনা ও সঞ্চালনায় ছিলেন বাংলাদেশ হাই কমিশনের প্রথম সচিব দেওয়ান মাহমুদ।
বিডি-প্রতিদিন/ ২১ ডিসেম্বর, ২০১৫/ রশিদা