সন্ত্রাসের জন্মভূমি ও ব্যর্থ রাষ্ট্র পাকিস্তানকে জাতিসংঘ থেকে বহিষ্কারের আহ্বান জানিয়েছেন প্রগতিশীল বাংলাদেশি-আমেরিকানরা। একাত্তরের গণহত্যাকে অস্বীকার এবং বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং রাজনীতিকদের সাফাই গাওয়ার প্রতিবাদের গত মঙ্গলবার দুপুরে ‘বাংলদেশি আমেরিকান এলায়েন্স’র ব্যানারে নিউইয়র্কে পাকিস্তানি কন্স্যুলেটের সামনে মানববন্ধন থেকে এই আহ্বান জানানো হয়।
শান্তিপূর্ণ সমাবেশ থেকে যুদ্ধে পরাজিত পাকিস্তানকে বাংলাদেশের পাওনা সম্পদ এবং একই সাথে নিউইয়র্কের পাকিস্তান কন্স্যুলেট ভবনের ষাট শতাংশ মালিকানা বাংলাদেশকে দেবার দাবি জানানো হয়। সর্বস্তরের বাংলাদেশি-আমেরিকানদের অংশগ্রহণে সমাবেশ থেকে ‘ডাউন ডাউন পাকিস্তান’, ‘পাকিস্তান পাকিস্তান-টেরোরিস্ট টেরোরিস্ট’ ও ‘পাকিস্তানি টোরোরিজম-ডোন্ট সাপোর্ট' স্লোগানে আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে একুশে পদকজয়ী নাট্যব্যক্তিত্ব জামালউদ্দিন হোসেন সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসাবে পাকিস্তানকে জাতিসংঘ থেকে বহিস্কারের উদ্যোগ নেবার আহ্বান জানান। সমাবেশের অন্যতম উদ্যোক্তা ও জেনোসাইড একাত্তর ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ড. প্রদীপ রঞ্জন কর একাত্তরের যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত ১৯৫ জন পাকিস্তানী সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা করে তাদের বিচারের দাবি জানান। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নিউইয়র্কের সভাপতি মিথুন আহমেদ পাকিস্তানের কাছ থেকে প্রাপ্য সম্পদ আদায়ের উদ্যোগ নেবার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবি জানান।
সমাবেশে আরও যোগ দেন প্রবীণ সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদউল্লাহ, কলামিস্ট বেলাল বেগ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সভানেত্রী মোর্শেদা জামান। আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন ড. সিদ্দিকুর রহমান, আইরিন পারভিন, শাহানারা রহমান, অধ্যাপিকা মমতাজ শাহনাজ, নুরুন্নাহার গিনি, তৈয়বুর রহমান টনি প্রমুখ। সাংস্কৃতিক কর্মী জলি কর, যুবলীগ নেতা তারিকুল হায়দার চৌধুরী, আব্দুল হামিদ, আক্তার হোসেন, আলী আহসান কিবরিয়া অনু, মুজাহিদ আনসারী, শাহাদত হোসেন, আব্দুল বাসির খান, আশফাক মাসুদ প্রমুখ ছিলেন স্লোগানে সোচ্চার।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নেওয়াজ শরিফের বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদানের চেষ্টা করা হলেও পাকিস্তানি কন্স্যুলেটের পক্ষ থেকে তা গ্রহণ করা হয়নি।
বিডি-প্রতিদিন/ ১০ ডিসেম্বর, ২০১৫/ রশিদা