তারেক রহমানের নির্দেশ উপেক্ষা করে নিউইয়র্কে বিএনপির একটি অংশ জন্মদিনের অনুষ্ঠান করলো মারদাঙ্গা পরিস্থিতির মধ্যে। গত শুক্রবার রাতে এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হয় তারেক রহমানের স্ত্রীর ভাই শরাফত হোসেন বাবুর নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অনুষ্ঠানে। জ্যাকসন হাইটসের পালকি পার্টি সেন্টারে এ অনুষ্ঠানের শুরুতেই মঞ্চে আসন গ্রহণের সময় মারদাঙ্গা পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনাও ঘটে। তবে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য বিএনপির সভাপতি মাওলানা অলিউল্লাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় মোনাজাতের আগে গোলযোগে লিপ্তদের দল থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেয়া হলে সকলে চুপ হয়ে যান। পরে বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক নাজিমউদ্দিন আলম ছাড়া আর কেউই বক্তৃতার সুযোগ পাননি।
নাজিমউদ্দিন আলম বেশ ক’মাস যাবত নিউইয়র্কে অবস্থান করলেও এই প্রথম কোন সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন। তারেক রহমানের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্যের সময় তিনি গোলযোগে লিপ্তদের কঠোরভাবে হুঁশিয়ারি দেন। এ সময় মঞ্চে ছিলেন সভার সভাপতি শরাফত হোসেন বাবু, জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা ও কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক গোলাম ফারুক শাহীন, ড. শওকত আলী, অঙ্গরাজ্য বিএনপির সভাপতি মাওলানা অলিউল্লাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সেক্রেটারি সাঈদুর রহমান সাইদ, সহ-সভাপতি আলমগীর খান এবং খালেক আকন্দ, সিটি বিএনপির সভাপতি হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, জাসাসের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সেক্রেটারি রুহুল আমিন নাসির এবং জাহাঙ্গীর আলম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লন্ডন থেকে তারেক রহমানের নির্দেশ ছিল জন্মদিনের কেক না কাটার। সে নির্দেশ অনুযায়ী বিএনপির অপর গ্রুপগুলো শেষ মুহূর্তে তাদের অনুষ্ঠান বাতিল করে। কিন্তু এ গ্রুপের অনুষ্ঠান অব্যাহত থাকায় অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এমনি অবস্থায় ‘শুভ শুভ শুভ দিন-তারেক রহমানের জন্মদিন’ স্লোগান দিয়ে সভাস্থলে ঢুকেন বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ান। তিনি সোজা মঞ্চের দিকে গিয়ে আগে থেকেই বসা একজনকে উঠে চেয়ারটি তাকে দিতে বলেন। এ থেকেই গোলযোগোর সূত্রপাত।
হট্টগোলের কারণে আলোচনা সভা সংক্ষিপ্ত করা হয় এবং নাজিমউদ্দিন আলম, বেবী নাজনীন, গোলাম ফারুক শাহীনসহ অনেকেই সভাস্থল ত্যাগ করার পর শরাফত হোসেন বাবু জন্মদিনের কেক কাটেন।
প্রসঙ্গত, ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় উপস্থিত থাকা অনেকে জানান, সেদিন এ গ্রুপের অনুষ্ঠানে মারপিটের উদ্ভব হয়েছিল আবু সুফিয়ানের কারণেই।
বিডি-প্রতিদিন/ ২১ নভেম্বর, ২০১৫/ রশিদা