দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেট, কমিউনিটি সংশ্লিষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন বিদায়ী কনসাল জেনারেল মাসুদুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘সকল শ্রেণী পেশার প্রবাসী ও কমিউনিটি নেতাদের জন্যে সব সময় খোলা থাকে কনস্যুলেটের সেবার দুয়ার। অতীতে যেমন আমরা সেবা দিয়েছি, ভবিষ্যতেও সবার সাথে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। পাশাপাশি পাচ্ছি আপনাদের সহযোগিতাও। কমিউনিটির সকলের সহযোগিতা, দূতাবাস ও কনস্যুলেট কর্মকর্তাদের প্রচেষ্টায় ইতোমধ্যে বাংলাদেশিদের অপরাধ প্রবনতা আগের চেয়ে অনেক কমে এসেছে। বিষয়টি আমিরাত সরকারও আঁচ করতে পেরেছেন। আশা করছি, আগামী বছর যে নতুন আইন বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে, তাতে আমরাও সম-অধিকার পাবো।’
বৃহস্পতিবার রাতে আমিরাতের শারজাহ হলিডে ইন্টারন্যাশনাল হোটেলের বলরুমে আয়োজিত বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রবাসী নারীদের প্রসঙ্গ টেনে সংবর্ধিত অতিথি বলেন, ‘এখানকার নারীদের মধ্যে আমি অমৃত সম্ভাবনা দেখতে পাই, প্রবাসে নারীদের ক্ষমতায়ন বাড়ানো গেলে দেশ সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আগামীতে দুবাই কনস্যুলেটে একটি কালচারাল উয়িং খোলার জন্যে সরকারের কাছে দাবি জানাবো। শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলাধূলাসহ ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে কালচারাল উয়িং কাজ করবে। কারণ, আমি দেখেছি এই তিনটি ক্ষেত্রেই শুধু মাত্র আমরা এক হতে পারি।’
ডা. সৈয়দ নুর মোহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমিরাতের নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ ইমরান।
সংবর্ধিত অতিথির কথা উল্লেখ করে ড. মোহাম্মদ ইমরান বলেন, ‘প্রবাসে এমন কর্মদক্ষ কর্মকর্তা খুব কমই দেখেছি। আমি তার ভবিষ্যৎ সাফল্য কামনা কারছি।
এমআরপি পাসপোর্ট প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘২০১০-১১ সালে এমআরপি পাসপোর্টের কাজ শুরু করে দূতাবাস ও কনস্যুলেটের সহযোগিতায় ইতোমধ্যে আমরা ৭ লাখ এমআরপি পাসপোর্ট করতে পেরেছি। এরমধ্যে আবুধাবী দূতাবাসে তিন লাখ ও চার লাখ দুবাই কনস্যুলেটের মাধ্যমে করা হয়েছে। আশা করছি, বাকি কয়েক হাজারও আমরা এই মাসের মধ্যেই শেষ করতে পারবো।’
তিনি প্রবাসীদের সর্তক করে বলেন, ‘এমআরপি পাসপোর্ট নবায়ন যোগ্য নয়, সেহেতু মেয়াদ শেষ হবার অন্তত ছয় মাস আগে নতুন পাসপোর্টের জন্য আপনারা আবেদন করবেন। এতে করে আমরাও যথা সময়ে সেবা দিতে পারবো।’
দুবাই ও উত্তর আমিরাত কমিউনিটি কর্তৃক আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হাজী শফিকুল ইসলাম ও শাহ মাকসুদের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কমিউনিটি নেতা প্রকৌশলী আবু জাফর, আলহাজ্ব ইফতেখার হোসেন বাবুল, কনস্যুলেটের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর ড. রফিক আহমেদ, কাউন্সিলর (লেবার) এএসএম জাকির হোসেন, কাউন্সিলর কনসাল ড. তানভীর মনছুর, ভাইস কনসাল কিরীটি চাকমা, প্রথম সচিব(শ্রম) একেএম মিজানুর রহমান, কমিউনিটি নেতা আবদুল আলীম, প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন, প্রকৌশলী জিল্লুহ রহমান প্রমুখ। পরে বিদায়ী অতিথিকে ক্রেষ্ট প্রদান করে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানানো হয়। এছাড়াও বিদায়ী অতিথির উদ্দেশ্যে মানপত্র পাঠ করেন শৈবাল বড়ুয়া। এসময় কমিউনিটির প্রায় দুই শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।