চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার ব্যাপারে প্রতিকার পেতে আপাতত কোনো আইনি প্রক্রিয়ায় যেতে চাইছেন না বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান। তিনি এখন এই ব্যাপারে কোনো আইনি প্রতিকার চাইলে, নাও পেতে পারেন এই আশঙ্কায় সেই পথে যেতে চাইছেন না। তাদের পরিবারের আইনজীবীও এই ব্যাপারে আপাতত কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্যই পরামর্শ দিয়েছেন।
জানা গেছে, তারা মনে করছেন, এখন বিষয়টি নিয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় গেলে সমস্যা হবে। ন্যায়বিচার পাওয়া নাও যেতে পারে। এই কারণে তিনি এখন চাকরি থেকে বরখাস্ত হলেও বিএনপি সরকার গঠন করতে পারলে চাকরি ফিরে পাবেন। চাকরি ফিরে পেলে সব সুযোগ-সুবিধাও পাবেন। নিয়ম অনুযায়ী পদোন্নতিও পাবেন। তারা এটাকে রাজনৈতিক বিবেচনায় চাকরিচ্যুত বলে মনে করছেন।
ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে জোবাইদা রহমানকে লন্ডনের ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকরির অফার দেওয়া হয়েছে। তাকে সেখানে অধ্যাপক হিসাবে যোগ দিতে বলা হয় গত বছর। ওই সময়ে তিনি ওই বিশ্বদ্যিালয় থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। সেখানে তিনি সব বিষয়ে ডিসটিংসন পেয়ে পাস করেন। তিনি ৫৩টি দেশের মধ্যে প্রথম হন। ওই সময় তাকে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিতে যোগদানের অফার দিলেও তিনি দেশে ফিরে আসবেন এই আশায় বিদেশি কোনো চাকরিতে যোগ দেননি।
গত বছর তিনি সেখানে পড়ালোখা শেষ করেন। ওই সময় যোগ না দিলেও ওই বিশ্ববিদ্যালয় তাকে এটাও বলে রাখে তিনি যদি কখনো চাকরিতে যোগদানে ইচ্ছুক হন সেটা যাতে জানান।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান জানান, তাকে সরকার চাকরি থেকে বরখাস্ত করায় এখন আমরা আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছি না। তারপরও বিষয়টি নিয়ে ম্যাডামের সঙ্গে কথা বলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি বলেন, তিনি এতটাই মেধাবী যে, সেখানে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিগ্রি লাভ করেন ও ৫৩টি দেশের ছাত্রছাত্রীর মধ্যে প্রথম হন। কমনওয়েলথেও প্রথম হন। এরপর তাকে প্রফেসর হওয়ার জন্য অফার দেওয়া হয়।