'জামায়াত মুক্ত গ্রাম' প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করলেন নিউইয়র্কের প্রবাসীরাও।
গত রবিবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির উডসাইডে 'কুইন্স প্যালেসৎ'' মিলনায়তনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে 'ইউএস কমিটি ফর সেক্যুলার অ্যান্ড ডেমক্র্যাটিক বাংলাদেশ'র উদ্যোগে আয়োজিত 'জামায়াত মুক্ত বাংলাদেশ' শীর্ষক সেমিনার প্রবাসীরা এই সংহতি প্রকাশ করেন।
বক্তারা উপস্থিত প্রবাসীদের উদ্দেশে বলেন, ধর্মীয় আবেগ পুঁজি করে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সহজ-সরল মানুষকে বিভ্রান্ত করে চলেছে এবং প্রকারান্তরে তারা ধর্মের বিধর্মী কাজ করছে। এই তথ্যটি জামায়াত প্রকাশিত বিভিন্ন গ্রন্থের উদ্ধৃতি দিয়ে গ্রামবাসীকে সজাগ করবেন এবং এভাবেই নিজের গ্রামকে জামায়াত মুক্ত করার পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করবেন।
সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাগেরহাটে ৪ এবং শেরপুরে ২০ গ্রামকে জামায়াত মুক্ত করার নেপথ্য কারিগর কানাডার টরন্টোতে বসবাসরত আন্তর্জাতিক ধর্মীয় বিশেষজ্ঞ এবং ওয়ার্ল্ড মুসলিম কংগ্রেসের উপদেষ্টা হাসান মাহমুদ। 'ইউএস কমিটি ফর সেক্যুলার ডেমক্র্যাটিক বাংলাদেশ'র সেক্রেটারি এবং নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জাকারিয়া চৌধুরীর সঞ্চালনে এ সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ও নিউজার্সি পে্লইন্সবরো সিটির কাউন্সিলম্যান (ডেমক্র্যাট) বিজ্ঞানী ড. নূরন্নবী।
সেমিনারের অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির পুরস্কারপ্রাপ্ত সাহিত্যিক মাহফুজুর রহমান এবং ২২ বছর আগে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ঘাতক গোলাম আজমের প্রতীকী বিচারের জন্য গণআদালতের আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত থাকা মার্কিন আইনজীবী থমাস কিটিং।
সেমিনার শুরু হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদ কর্তৃক কেক কাটা এবং উপস্থিত সকলে সমস্বরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে। এরও আগে পবিত্র কোরআন, বাইবেল, ত্রিপিটক এবং গীতা থেকে ধর্মীয় বাণী পাঠ করা হয়।
স্বাগত বক্তব্যে ড. নূরন্নবী গণজাগরণ মঞ্চের অনুকরণে প্রবাসে চলমান জামায়াত-শিবির বিরোধী কার্যক্রমকে আরও বেগবান এবং আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন আদায়ের অভিপ্রায়ে এক বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে গঠিত ১০০১ সদস্যবিশষ্টি 'ইউএস কমিটি ফর সেক্যুলার অ্যান্ড ডেমক্র্যাটিক বাংলাদেশ'র ভূমিকা উপস্থাপন করেন।
সেমিনারে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগ, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য আওয়ামী লীগ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ, ব্রুকলীন এবং কুইন্স বরো আওয়ামী লীগ, চার্চ-ম্যাকডোনাল্ড আওয়ামী লীগ, ওজনপার্ক আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রতিনিধিত্বকারীরা অংশ নেন।