'জঙ্গিবাদের উত্থান ও ইতিহাস বিকৃতির সূচনা করেছেন জিয়াউর রহমান। ৭ই মার্চ যে জায়গায় দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন, নতুন প্রজন্ম যাতে সেই ঐতিহাসিক স্থান শনাক্ত করতে না পারে এজন্য ওই স্থানটিতে জিয়াউর রহমান শিশু পার্ক নির্মাণ করেছেন।' দুবাই গিয়ে এমন অভিযোগ করেছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিদেশি দূতাবাসে চাকরি দেওয়া হয়েছে। গোলাম আজমকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধীদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসানো হয়েছে। ইতিহাস বিকৃতির সূচনা ও '৭৫ এ যে কাজগুলো জিয়াউর রহমান করে গেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় বেগম খালেদা জিয়াও যতদিন ক্ষমতায় ছিলেন ততদিন এই ইতিহাস বিকৃতির প্রতিযোগিতায় মেতে ছিলেন এবং সেসব কাজের পূণরাবৃত্তি ঘটিয়েছেন।
আজ রবিবার দুবাইয়ে ল্যান্ডমার্ক হোটেলে সংযুক্ত আরব আমিরাত আওয়ামী লীগের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
কামরুল ইসলাম বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বিকৃত আর খণ্ডিত ইতিহাস। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্ম জানে না। ৭ই মার্চ সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই তাদের। আমরা যারা প্রবীণ তাদের তরুণদের সামনে এসব ইতিহাস তুলে ধরতে হবে।
তিনি বলেন, বিদেশিদের চাপে বর্তমানে বিএনপি সাময়িকভাবে গণতান্ত্রিক রূপ ধারণ করছে। এসব তাদের অস্থায়ী রূপ। বেগম জিয়া হুমকি দিচ্ছেন তারা আবার আন্দোলনে ফিরে যাবেন। তার মানে যেকোনও সময় তারা আগের মতো সন্ত্রাসী বাহিনীতে পরিণত হবে। তাদের বক্তব্যে জানিয়ে দিচ্ছে সন্ত্রাসী রূপ ধারণ করার পূর্বাভাস।
মন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নামে রাষ্ট্র যন্ত্রকে ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা চায় না। এরা দেশটাকে ধ্বংস করে পাকিস্তানের মতো অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়।
বিএনপি-জামায়াতের সম্পর্ক টেনে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি'র জামায়াতের সম্পর্ক ত্যাগ করার কোনও কারণ নেই। বিএনপির জন্মই জামায়াতের গর্ভে। একাত্তোরের ঘাতকদের গর্ভ থেকেই বিএনপির জন্ম। '৭৫ এর পর জিয়াউর রহমান একাত্তরের ঘাতক মুসলিম লীগ আর নিজামী ইসলাম পার্টিসহ যে সমস্ত স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠি ছিলো তাদের সমন্বয়ে বিএনপি নামক দলের জন্ম দিয়েছে। কাজেই তাদের সঙ্গ ত্যাগ করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। জামায়াত, বিএনপি, হেফাজত কে আলাদা করে দেখার কিছু নেই। তারা একি বৃন্তে তিনটি ফুল।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বক্তব্যের পর আরব আমিরাত আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করেন তিনি। কমিটিতে আল মামুন সরকারকে সভাপতি ও মোহাম্মদ ইউসুফকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হয়েছে।
আল মামুন সরকারের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য প্রদান করেন সম্মেলনের প্রধান সমন্বয়ক এস এম নিজাম, এম এম তালেব আলী, কামরুল নাছের।
শাকিব রাদিয়াতুল্লাহ'র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- এস এম ইলিয়াস, মোহাম্মদ ইউসুফ, মোহাম্মদ জয়নাল, হেলাল উদ্দিন, রাখাল কুমার গোফ, আবু জাফর, অনুকুল রায় সহ দুবাই, আবুধাবী, রাস-আল-খাইমা, শারজাহ, আল-আইন সহ সবকটি বিভাগীয় শহরের আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা।