শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা পেপারস মিলস লিমিটেড।
মঙ্গলবার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কোম্পানির ২৮তম বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০২০-২১ অর্থ-বছরের কোম্পানির পরিচালকমণ্ডলীর বিবরণী, নিরীক্ষিত আর্থিক হিসাব ও প্রতিবেদনগুলো অনুমোদন করা হয়।
সভায় স্বাগত ও সভাপতির বক্তব্য দেন কোম্পানির উপদেষ্টা ও বিকল্প পরিচালক এ আর রশিদী।
একই সঙ্গে ১২ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশও অনুমোদন করা হয়েছে। প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আলোচ্য বছরে নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা কোম্পানির সাফল্যের ইতিবাচক প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেন শেয়ারহোল্ডাররা। একই সঙ্গে কোম্পানির সার্বিক কর্মকাণ্ড ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা অক্ষুন্ন রাখায় পরিচালকমণ্ডলী ও পর্ষদের প্রতি কৃতজ্ঞতা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন শেয়ারহোল্ডাররা।
বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা পেপারস মিলস লিমিটেডের পরিচালক ইমরুল হাসান, নাজমুল আলম ভূঁইয়া, স্বতন্ত্র পরিচালক খাজা আহমেদুর রহমান, বসুন্ধরা পেপারস মিলস লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান এফসিএ, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মির্জা মুজাহিদুল ইসলাম, অর্থ ও হিসাব বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা কামরুল হাসান, বিধিবদ্ধ নিরীক্ষক ও কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার সভায় ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
কোম্পানির উপদেষ্টা ও বিকল্প পরিচালক এ আর রশিদী বলেন, বিগত দুই বছর ধরে বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ এর প্রভাবে চূড়ান্ত চাহিদার মৌসুমে দেশব্যাপাী তথা বিশ্বব্যাপী লকডাউনের প্রভাবে কোম্পানির কার্যক্রম এবছর ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারপরও বিগত বছরের তুলনায় বিক্রয়লব্ধ আয় এবছর প্রায় ৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ, করপরবর্তী নিট আয় ৪৩ শতাংশে এবং রপ্তানি আয় ৩৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
এ আর রশিদী বলেন, এ আর বিজয়ের এই সুবর্ণজয়ন্তীতে বিশ্বের ৫০টি দেশে অত্র কোম্পানির উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। সুপার ব্র্যান্ড খেতাবের পাশাপাশি এবছর বসুন্ধরা টিস্যু অর্জন করেছে এশিয়াস গ্রেটেস্ট ব্র্যান্ড অ্যান্ড লিডারস ফর ২০২০-২০২১ সম্মাননা। এছাড়াও বসুন্ধরা গ্রুপ ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি প্রটেকশন অ্যাওয়ার্ড ২০২০ সম্মানে ভূষিত হয়েছে, যার মধ্যে অত্র কোম্পানির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পণ্য বিদ্যমান।
বসুন্ধরা পেপার মিলস্ লিমিটেডের উপদেষ্টা ও বিকল্প পরিচালক এ আর রশিদী বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির আওতায় অত্র কোম্পানি প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয় করেছে এ বছর। মহামারীর এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও অত্র কোম্পানির একজন কর্মীকেও ছাঁটাই করা হয়নি। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার অর্থাৎ বিগত চার বছরে ৩ হাজার ৫০০ জনের কর্মী বাহিনীর সমন্বয়ে পরিচালিত এই কোম্পানি আলোচ্য বছরে ১০৭ কোটি টাকাসহ আয়কর ও শুল্ক বাবদ ৩১৪ কোটি ২২ লাখ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়ে সরকারের ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের অংশীদারিত্ব লাভ করেছে।
তিনি আরও বলেন, উৎপাদন ক্ষমতা ও পণ্যের গুণগত মান বৃদ্ধিতে সচেষ্ট থেকে “দেশ ও মানুষের কল্যাণে” বসুন্ধরা গ্রুপের এই মূলমন্ত্র ধারণ করে “মেইড ইন বাংলাদেশ” খচিত অত্র কোম্পানির পণ্য বিশ্বের প্রতিটি দেশে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর এই কোম্পানির পরিচালকগণ। বিজয়ের এই সুর্বণজয়ন্তীর বছরে উৎপাদনশীলতার সঙ্গে সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গিকার পুনঃব্যাক্ত করে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
কোম্পানি সচিব এম মাজেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সাধারণ সভায় আরও বক্তব্য দেন বসুন্ধরা পেপারস মিলস লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান এফসিএ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত