তরুণ প্রজন্মের ভোটারদের দেখে শুনে ভেবে চিন্তে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে আগামী ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও উন্নয়ন সমন্বয় এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান।
শনিবার রাজধানীর গুলশানের হোটেল লেকশোর এ ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।
ড. আতিউর রহমান বলেন, গত এক দশকে বিশ্ব আর্থিক মন্দা, ধর্মীয় উগ্রতা ও সহিংসতা শক্তভাবে মোকাবেলা করে বাংলাদেশ তর তর করে এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার গত এক দশকে চার গুণ বড় হয়েছে। মাথাপিছু আয় ও ভোগ তিনগুণ বেড়েছে। দারিদ্র্য কমে অর্ধেক হয়েছে। জীবনের গড় আয়ু ৬৫ বছর থেকে বেড়ে ৭৩ বছর হয়েছে। দ্য ইকনমিস্ট ইন্টালিজেন্স ইউনিট মনে করে আগামী ৫ বছর জিডিপি গড়ে অন্তত ৭.৭% হারে বাড়বে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এই গভর্নর বলেন, বাংলাদেশ মনে করছে এ বৃদ্ধির হার আরো বেশি হবে। আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নের এই শক্ত ভিত্তি রচনা করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের গুনেই এটি সম্ভব হয়েছে। তাই তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। এই বাস্তবতায় তাঁর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ আগামী নির্বাচনে জয়যুক্ত হবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তরুণ ভোটাররা নিশ্চয় সম্ভবনার সমৃদ্ধ বাংলাদেশের বিজয়ী ট্রেনেই অবস্থান নেবে। তারা অ্যান্টি-ইঙ্কাম্বেসি ধারণায় প্রভাবিত হবে না। নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের তাই আরও সতর্ক থাকতে এবং এই নির্বাচনকে কেও যেন প্রশ্নবিদ্ধ না করতে পারে সে দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখার পরামর্শ দেন ড. আতিউর রহমান। বলেন, যে কোন মূল্যে সহিংসতা এড়াতে সকলকে মনযোগী হতে হবে। কেননা এই নির্বাচন ১৯৭০ সালের নির্বাচনের মতোই খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে ড. আতিউর রহমান ছাড়াও আরও বক্তৃতা করেন জাতীয় মানবধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রেজাউল হক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মিজানুর রহমান, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কলিমুল্লাহ, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, জাস্টিস আব্দুস সালাম, উদ্যোক্তা আতিকুল ইসলামসহ বুদ্ধিজীবী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ।
বিডি-প্রতিদিন/২২ ডিসেম্বর, ২০১৮/মাহবুব