থার্টি ফার্স্ট নাইটে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেছেন, এ উপলক্ষ্যে রাজধানী নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে। জঙ্গি সংগঠনের হামলা করার কোনো সুযোগ নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মোট ১০ হাজার সদস্য নিরাপত্তায় তৎপর থাকবে।
রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটে কোথাও কোনো আতশবাজি বা পটকা ফোটানো যাবে না। কোনো উন্মুক্ত স্থানে নববর্ষ উৎযাপন উপলক্ষে নাচ, গান বা কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে রাজধানীর কোনো বার খোলা রাখা যাবে না। রাত ৮টা থেকে পরদিন ১ জানুয়ারি ভোর ৫টা পর্যন্ত রাজধানীর আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসব স্থলে লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্রও না আনার জন্য সকলকে অনুরোধ করা হলো।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানী সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভার, রাস্তায় ও প্রকাশ্যে কোনো ধরনের জমায়েত, সমাবেশ বা উৎসব করা যাবে না। উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান বা সমাবেত হওয়া যাবে না। গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় বসবাসরত নাগরিকদের থার্টি ফার্স্ট নাইটে রাত ৮টার মধ্যে নিজ এলাকায় ফিরে আসার জন্য অনুরোধ রইল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পর বহিরাগত কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। ঢাবির আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাড়ি নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় দেওয়ার মাধ্যমে নীলক্ষেত ও শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, গুলশান এলাকায় প্রবেশের জন্য কাকলি ক্রসিং এবং আমতলি ক্রসিং উন্মুক্ত থাকবে। তবে নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় দিয়ে এ দুটি ক্রসিংয়ে যাতায়াত করতে পারবে। সন্ধ্যার পরে সার্বিক নিরাপত্তার সার্থে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাবি এলাকায় যারা বসবাস করেন না তাদের ওই এলাকাগুলোতে প্রবেশে নিরুৎসাহিত করা হলো। রাত ৮টার পর থেকে হাতিরঝিল এলাকায় কেউ অবস্থান করতে পারবেন না।
বিডি প্রতিদিন/২৯ ডিসেম্বর, ২০১৬/ফারজানা