মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ (প্রত্যয়নপত্র) নেওয়ায় ৩৯ জন সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার নির্দেশ দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের কাছে এ নির্দেশ-সংবলিত চিঠি পাঠানো হয়েছে।
ইতোমধ্যে তাঁদের মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও গেজেট বাতিল করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে জানা যায়, ৩৯ কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন একজন বিচারক, চারজন নিরীক্ষক, দুজন ব্যাংকার, একজন শুল্ক কর্মকর্তা, একজন যুগ্ম পরিচালক, দুজন প্রধান শিক্ষক ছাড়াও আছেন অফিস সহকারী, কেরানি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা।
৩৯ জনের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের পল্লী অবকাঠামো প্রকল্পের পরিচালক আতাউর রহমান, পাবনার রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপক মো. আবুল কাসেম, কৃষি ব্যাংকের মুখ্য কর্মকর্তা শেখ জান মোহাম্মদ, চট্টগ্রামের যমুনা অয়েল কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপক গোলাম রব মোল্লা, কিশোরগঞ্জের চিকিৎসা কর্মকর্তা আলকাবুর রহমান, রেলওয়ের ডিইও আবদুল কাইয়ুম, ঢাকার আমির আলী (পদবি লেখা নেই), চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার কাজী আবদুল বাসিত, রাঙামাটি পার্বত্য জেলার চন্দ্রঘোনা কেপিএসের সাবেক জ্যেষ্ঠ কেরানি কোহিনুর মিয়া, মেহেরপুরের এসআই সোলায়মান আলী, মৎস্য অধিদপ্তরের ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক জোয়ার্দার মো. আনোয়ারুল, ভোলার ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের মোশারেফ হোসেন, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলের ইমাম মফিজুল ইসলাম, চাঁদপুর আঞ্চলিক শ্রম দপ্তরের কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক তাজুল ইসলাম খান, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কারখানা বিভাগের কার্য সহকারী নজরুল ইসলাম, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের পরিচালক এস এম সাইদুর রহমান চৌধুরী, মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের জ্যেষ্ঠ নিরীক্ষক সহকারী শাহাবুদ্দিন চৌধুরী ও ছাদেক আলী, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের অটোগেজ অপারেটর অহিদুজ্জামান, মাগুরার এসআই শামছুর রহমান গাজী, বিসিআইসির নিরাপত্তা হাবিলদার কে এম বাবলু, রায়পুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের সহকারী গোলাম মোস্তফা, মুন্সিগঞ্জের সহকারী ফোরম্যান জয়নাল আবেদীন, বরিশাল সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রশাসনিক কর্মকর্তা আমির হোসেন, আবদুল আজিজ, চাঁদপুরের টিএসআই নুরন্নবী পাটোয়ারী, সাতক্ষীরা উপজেলা শিক্ষা অফিসের কম্পিউটার অপারেটর/অফিস সহকারী আবুল হোসেন।