মৃত্যুর পরে ২৭,০০০ খণ্ডে ভাগ করা হল দেহকে। আর এমন নির্দেশই নাকি দিয়ে গিয়েছিলেন সেই দেহের মালিক সুপটার।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেনভারের বাসিন্দা সুপটার ২০১৫ সালে ৮৭ বছর বয়সে মারা যান। মৃত্যুর আগে তিনি তার ইচ্ছাপত্রে এ কথা লিখে যান যে, তিনি এমন কিছু রেখে যেতে চান যা সমগ্র মানব জাতির কাজে আসবে। তিনিই পরিকল্পনা করে যান, তার দেহকে সংরক্ষণ করা হবে এবং এক ‘ডিজিটাল মৃতদেহে’ পরিণত করা হবে।
এই কথা মাথায় রেখেই সম্প্রতি সুপটার সংরক্ষিত দেহকে ২৭,০০০ খণ্ডে বিভাজিত করা হয়। চুলের মতো সূক্ষ্ম এই খণ্ডগুলির আণুবীক্ষণিক ছবির থ্রি ডি ডিজিটাল রূপ ধরে রাখা হয়। এই ‘সংরক্ষণ’ মূলত চিকিৎসা বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের কাজে আসবে।
২০১৫ সালে নিউমোনিয়ায় মারা যান সু। তারপর তিন বছর তার দেহকে সংরক্ষিত রাখা হয়। এই তিন বছরে তার দেহের বিভিন্ন রকমের ছবি তুলে রাখা হয়েছিল। এই ছবিগুলিকে ব্যবাহার করেই তার দেহকে খণ্ড-বিখণ্ড করা হয়।
‘ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক’র তরফে এই পদ্ধতির এক বিস্তারিত ভিডিও তুলে রাখা হয়েছে। এই বিচিত্র সংরক্ষণটি ঘটেছে ইউনিভার্সিটি অফ কলোরাডো'র সেন্টার ফর হিউম্যান সিম্যুলেশন-এ। সংস্থার ডিরেক্টর ভিক স্পিৎজার এই প্রক্রিয়ার বিস্তারিত বিবরণও দিয়েছেন।
জানা যাচ্ছে, সু ইউনিভার্সিটি অফ কলোরাডো'র হিউম্যান সিম্যুলেশন সংক্রান্ত এক প্রবন্ধ পড়েই অনুপ্রাণিত হন এবং সিদ্ধান্ত নেন তিনি তার দেহ এই কাজে দান করে যাবেন। এই ভাবেই তিনি ‘অমরত্ব’ অর্জন করবেন, এটাই ছিল তার ভাবনা।
মৃত্যুর আগে সু সেই ‘করাত’টিকে দেখতে চান, যা দিয়ে তাকে খণ্ড খণ্ড করা হবে। সেই ‘ফ্রিজ’টিকেও তিনি দেখতে চান, যেখানে তার দেহ রাখা হবে। তার সেই ইচ্ছাপূরণ করেন গবেষকরা।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত