মাথা উঁচু করে দাঁড়াত সে। আর তার উচ্চতা ছিল ৫.৫ ফুট। এমনকী, তার একটা হারেমও ছিল। সম্প্রতি আবিষ্কৃত আদিম মানুষের পায়ের ছাপ বিশ্লেষণ করে এমন সব সিদ্ধান্তেই পৌঁছিয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি আফ্রিকার উত্তর তানজানিয়ায় খুঁজে পাওয়া গিয়েছে আদিম মানুষের বেশ কয়েকটা পায়ের ছাপ। প্রত্যেকটা পায়ের ছাপই ১০ ইঞ্চির মতো লম্বা। লাভার ছাইয়ের উপর পড়া সেই পায়ের ছাপ কালের বিবর্তনে পরিণত হয়েছে জীবাশ্মে। এবং পায়ের পাতার সেই মাপ থেকেই বিস্তর গবেষণা করে জানিয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা- সেই আদিম মানুষ ছিল রীতিমতো লম্বা। মাথা উঁচু করে দাঁড়ালে তার উচ্চতা হত ৫.৫ ফুট।
তবে এই উচ্চতার হিসাবটা আসলে কষতে হবে সেই সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে। তখনও মানুষ বেশ কুঁজো হয়ে হাঁটত। এর আগে সেই সময়ের মানুষের যে জীবাশ্ম পাওয়া গিয়েছিল ইথিওপিয়া থেকে, প্রত্নতাত্ত্বিকরা সেই গোষ্ঠীর নারীর নাম দিয়েছিলেন লুসি।
প্রত্নতাত্ত্বিকরা জানিয়েছিলেন, সেই লুসির উচ্চতা ছিল মেরেকেটে সাড়ে তিন ফুট। সেই তুলনায় এই যে পুরুষটির পায়ের ছাপ পাওয়া গেল জীবাশ্ম হিসেবে, তাকে তো লম্বা বলতেই হবে।
প্রত্নতাত্ত্বিকরা আরও জানিয়েছেন, সেই আদিম মানুষটি একাই তার গোষ্ঠীতে ছিল পুরুষ সদস্য। বাকিরা সবাই ছিল নারী। তার থেকেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছিয়েছেন তারা- খুব সম্ভবত প্রাগৈতিহাসিক মানুষও হারেম বানিয়ে থাকত। সেই জন্যই সেই গোষ্ঠীতে আর কোনও পুরুষের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৬/তাফসীর-১০