অবিশ্বাস্য ঘটনাই বটে। কোন বল হল না, অথচ হয়ে গেল পাঁচটি রান। চমকপ্রদ এই ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) চট্টগ্রাম পর্বের শেষ ম্যাচে। হয়তো এটাই শেষ পর্যন্ত ভাইকিংসদের পরাজয়ের নেপথ্য কারণ!
চিটাগং ভাইকিংসের শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার তিলকরত্নে দিলশান কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ওপেনার ইমরুল কায়েসকে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ ধাক্কা দিয়েছিলেন। পরিণতিতে ৫ রান পেয়েছে কুমিল্লা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১৩৭ রান তাড়া করে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারিয়ে তখন চাপে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। ওই ওভারেই পেসার তাসকিন আহমেদের বলে রান নিতে গিয়েও অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যান আহমেদ শেহজাদের সাড়া না পেয়ে ফেরত আসছিলেন ইমরুল। আর তখন দিলশানের থ্রো স্ট্যাম্প মিস করে সীমানার দিকে যাচ্ছিলো। সেই সুযোগে কুমিল্লার ব্যাটসম্যানরা রান নিতে যাওয়ার সময়ই ঘটে দিলশানের সেই ধাক্কা কান্ড। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, রান নিতে ছুটতে থাকা ইমরুলকে ধাক্কা দিয়েছিলেন দিলশান। আর ধাক্কার পাশাপাশি দিলশানের পায়ের বাধায় মাটিতে পড়ে যান ইমরুল, ততক্ষণে বেল ফেলে দেন চিটাগংয়ের ফিল্ডাররা।
তবে ইমরুলের আপত্তিতে সিদ্ধান্ত যায় তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে। আর ইমরুলকে ইচ্ছে করে বাধা দেয়ায় আউটের বদলে কুমিল্লাকে অতিরিক্ত ৫ রান দেন। পাশাপাশি ডেড ঘোষণা করেন ওই বলটিকে। আর তাতেই শূন্য বলে ৫ রান পেয়ে যায় মাশরাফির দল!
ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে দিলশানের ধাক্কার বিষয়ে কথা বলেন কুমিল্লা অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তিনি মনে করেন, দিলশান ইমরুলকে ইচ্ছা করে ধাক্কা মেরে থাকলে কাজটা ঠিক করেনি। তবে বিষয়টাকে অন্য দিকে না নিয়ে ক্রিকেটীয় দৃষ্টিতেই দেখতে চান কুমিল্লা অধিনায়ক। মাশরাফি বলেন, ‘পুরো ব্যাপারটা আম্পায়ারের ওপরেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। আউট দিলেও আমাদের কিছু করার ছিল না। আর সব কিছুরই আইন আছে। আইনের ভেতর থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত বলতে চাই না। শুধু এটুকুই বলছি, আম্পায়াররা আইন মেনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘আম্পায়ার ওই ঘটনায় ৫ রান পেনাল্টি করেছে, আমাদের ব্যাটসম্যানকে আউটও দেননি। তাতেই বোঝা যাচ্ছে সবকিছু। আমরা সিদ্ধান্তে খুশি হয়েছি। আর ক্রিকেটীয় জায়গা থেকে বললে, আমি জানি না সে (দিলশান) ইচ্ছে করেই করেছে কি না।
বিডি-প্রতিদিন/০৪ ডিসেম্বর ২০১৫/ এস আহমেদ