বেড়াতে গিয়ে হোটেলের আরাম কে না চায়? কিন্তু সেখানে বিলাসবহুল বিছানার উপর যদি ছড়িয়ে থাকে তারাভরা আকাশের শামিয়ানা, সেই অসাধারণ অভিজ্ঞতার স্বাদ পেতে গোটা বিশ্বের মানুষ উতলা হবেন, এটাই স্বাভাবিক।
ভ্রমণের নেশায় যিনি একবার মজেছেন, ছুটি-ছাটায় তাঁকে ঘরবন্দী করে রাখা মুশকিল। স্কুল-কলেজ-অফিসের চেনা রুটিনের ফাঁক গলে অবসরের হাতছানি দেখা দিলেই মন ছুটে চলে পাহাড়-নদী-মরুভূমি-জঙ্গল-সৈকতের নিভৃত ঠিকানায়। কোথাও বেড়াতে গেলে যেমন যাতায়াতের ব্যবস্থা আগাম সারতে হয়, তেমনই পছন্দসই আশ্রয় খুঁজতেও ইন্টারনেট তোলপাড় করে ফেলেন হালের ভ্রমণপিপাসুরা। ই-কমার্সের হাত ধরে ইদানীং আবার হোটেল ভাড়ায় বড়সড় ছাড়ও মিলছে। তবে সস্তা খুঁজতে গিয়ে অনেক সময় নাগালের বাইরে থেকে যায় মনোরম বাসস্থানের হদিশ।
ইতালির পার্বত্য লম্বার্ডি অঞ্চলে অসামান্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পশরা সাজিয়ে হাজির ছবির মতো একাধিক পর্যটনকেন্দ্র। পাহাড়ের ঢালে বা গভীর উপত্যকার মাঝে একের পর এক বিলাসবহুল রিসোর্টের সারি। এদের মধ্যে অন্যতম সেরা ল'আলবেরেতা রিসোর্টস। দুর্ধর্ষ লোকেশনই শুধু নয়, অতিথিরা যাতে নির্ভেজাল প্রাকৃতিক নিসর্গ উপভোগ করতে পারেন, তার জন্য রিসোর্টটি নির্মাণ করার সময় অভিনব স্থাপত্য পরিকল্পনা ব্যবহার করা হয়েছে।
ল'আলবেরেতা রিসোর্টসে রয়েছে পাঁচতারা ক্যাব্রিওলেট স্যুইট, যেখানে নরম গদিমোড়া বিছানায় শুয়ে ইচ্ছে হলেই মাথার উপর নক্ষত্রখচিত আকাশ দেখা যায়। স্যুইটের বেডরুমে ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যার জেরে কেবল একটি বোতামে চাপ দিলেই শোয়ার ঘরের গোটা সিলিং সরে যাবে। অতিথিরা চাইলে সারা রাত খোলা আকাশের নীচে ঘুমাতে পারবেন।
বস্তুত, ল'আলবেরেতা রিসোর্টসে প্রতিটি মুহূর্তই হয়ে উঠতে পারে চিরস্মরণীয়। খ্রিসমাস ও নিউইয়ারে রিসোর্টের পাতালঘরে আয়োজিত হয় রংদার পার্টি। আন্ডারগ্রাউন্ড এই প্রাচীন সেলারে তাকে তাকে সাজানো বহু বছর ধরে সুরক্ষিত অমূল্য মদিরার পিপে। তাদের মাঝে বসে প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে পানাহারের অভিজ্ঞতাও নিঃসন্দেহে অবিস্মরণীয় হতে পারে।
বিডি-প্রতিদিন/১০ নভেম্বর, ২০১৫/মাহবুব