মাত্র ১১ বছর বয়সেই শেষ করেছেন গ্র্যাজুয়েশন। এর ৪ বছর বাদে আরেক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অঙ্গে ডিগ্রি। এখানেই শেষ নয়, আরেক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনলাইনে পড়াশোনা করছেন সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে। বয়স তার এখন সতেরো। আর এই বয়সেই পুরোদস্তুর বিমান চালাতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের এই বিস্ময় বালকের নাম কাভালিন।
ইতোমধ্যে বিস্ময় বালক হিসেবে পরিচিতি পাওয়া কাভালিন কাজ করছেন মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সঙ্গে। প্রতিষ্ঠানটিকে নতুন নতুন প্লেন ও ড্রোন প্রযুক্তি তৈরিতে সাহায্য করছে সে। শুধু প্রযুক্তিগত জ্ঞান নয়, লেখালেখিও শুরু করেছে ছোট্ট এই ছেলেটি। নিজের দ্বিতীয় বই প্রকাশ পেয়েছে সম্প্রতি। সময় পেলে ছবিও অাঁকেন। এটা বলতে পারেন তার একটা শখ। চলতি বছরের শেষেই বিমান ওড়ানোর লাইসেন্সও আসবে তার হাতে।
কাভালিনের বাবা ব্রাজিলের বংশোদ্ভূত ও মা তাইওয়ানিজ। এত অল্প বয়সেই এক অর্জনের পিছনে মাকেই গুরু মানে সে। সম্প্রতি নাসার এক সম্মেলনে যেমনটা সে বলে, 'আমি অসাধারণ নই। বাবা-মার উৎসাহ, নিজের ইচ্ছা আর উদ্যোগের ফল মাত্র। আমি শুধু নিজের সর্বাত্মক চেষ্টা করি।'
কাভালিনের বাবা-মা জানায়ম খুব দ্রুত সব পড়াশোনা সেরে ফেলতে পারে সে। মাত্র সাত বছর বয়সেই শেষ হয়েছে ত্রিকোণমিতি। তবে তারও বাধা এসেছে। কাভালিন স্বপ্ন দেখেছিল অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট হওয়ার। কিন্তু ফিজিক্স পতে গিয়ে সে বুঝতে পারে তার উৎসাহ কম্পিউটার বিজ্ঞানেই। নাসা যখন তাকে ডাকে রীতিমত অবাক হয় কাভালিন। নাসায় তার মেন্টর রিকার্ডি আর্তেগা জানায়, কাভালিন অঙ্ক, কম্পিউটার, এয়ারক্রাফট টেকনোলজি এই তিন বিষয়েই জ্ঞান রাখে। তাই ও এই প্রজেক্টের জন্য একদম পারফেক্ট ছিল। তার দরকার ছিল এমন একজন যে অ্যালগোরিদিম করবে আবার প্লেনও ওড়াতে পারবে।
বর্তমান অর্জন নিয়েই থেমে থাকতে চান না কাভালিন। লক্ষ্য আপাতত ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে বিজনেস'এ মাস্টার ডিগ্রি নিতে। সর্বশেষে একেবারে নিজের সাইবার সিকিউরিটি কোম্পানিও খুলতে চায় কাভালিন।
বিডি-প্রতিদিন/৪ নভেম্বর ২০১৫/শরীফ