ভোট দেওয়ার পর আঙুলের কালির দাগটি দোকানে গিয়ে দেখালেই পাওয়া যাবে জিনিসপত্রের দামের উপর ছাড়! শপিং মল থেকে শুরু করে বড় দোকান, রেস্তোরাঁয় এই ছাড় পাওয়া যাবে। অবাক লাগলেও ব্যাপারটি সত্যি। সাধারণ মানুষকে ভোট দিতে উৎসাহিত করতে এমনই নিয়ম কার্যকর করতে চলেছে ভারতের বর্ধমান জেলা প্রশাসন।
জেলা শাসক সৌমিত্র মোহনকে উদ্ধৃত করে পিটিআই জানাচ্ছে, বিগত কয়েক বছরে ভোটদানের হার আশাব্যঞ্জক নয়। তাই সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করতে এই সিদ্ধান্ত।
সৌমিত্র মোহনের বক্তব্য, দেশে এমন উদ্যোগ এই প্রথম। আসন্ন লোকসভা ভোটে আমরা সাধারণ মানুষকে ভোট দেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহিত করতে চাই। দোকানদার নিজের ক্ষমতা বুঝে যে কোনও কেনাকাটার ওপর ৫ থেকে ১০ শতাংশ ছাড় দেবেন।
পুরো ব্যাপারটি সৌমিত্রবাবুর মস্তিষ্কপ্রসূত। তিনি এর আগে বর্ধমান জেলার বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন। তাতে ইতিবাচক সাড়া মেলে। প্রথমে এই বিষয়টি বর্ধমান শহরে চালু করার কথা ভাবা হলেও এখন গোটা জেলায় তা কার্যকর করা হবে।
বর্ধমান জেলায় বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর এবং আসানসোল এই তিনটি লোকসভা আসন রয়েছে। প্রথম দু'টি আসনে ভোট হবে ৩০ এপ্রিল আর আসানসোলে ভোট হবে ৭ মে।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ভোট দেওয়ার পর দোকান, শপিং মলে কেনাকাটা করতে গিয়ে আপনাকে দেখাতে হবে আঙুলে কালির দাগ। আর হ্যাঁ, নিজের ভোটার আই-কার্ড সংশ্লিষ্ট দোকানে দেখাতে ভুলবেন না। তা হলে আপনি যা কেনাকাটা করবেন, তার দামে ছাড় পাবেন।
উল্লেখ্য, রাজ্যের আর পাঁচটা আসনের মতো বর্ধমান জেলার তিনটি আসনেও এখন আসন্ন ভোট উপলক্ষে সাজ-সাজ রব। প্রার্থীদের সমর্থনে শুরু হয়ে গেছে দেওয়াল লিখন। হচ্ছে মিছিল, পথসভা।
নির্বাচন কমিশনের সূত্র অনুসারে, এই জেলার অনেকগুলো বুথই স্পর্শকাতর। ফলে আসন্ন লোকসভা ভোটে বর্ধমান জেলাকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হবে। পঞ্চায়েত ভোটের সময় এই জেলায় হিংসা ছড়িয়েছিল। এবার লোকসভা ভোটে আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না প্রশাসন। ভিন রাজ্য থেকে আনা হচ্ছে পুলিশ। পাশাপাশি, নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী থাকবে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাবাহিনী।