যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানায় বিনা অপরাধে মৃত্যুদণ্ড মাথায় নিয়ে ২৫টি বছর জেলে কাটিয়ে দিয়েছেন গ্লেন ফোর্ড। ১৯৮৩ সালে এক জুয়েলারি দোকানদারকে খুন করার দায়ে ১৯৮৮ সালের অগাস্টে ফোর্ডের মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়। সম্প্রতি তার মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে লুইসিয়ানা রাজ্যের জেলা বিচারপতি রামোনা ইমানুয়েল। ২৫ বছর বাদে আদালত জানতে পারে খুনের ঘটনার সঙ্গে ফোর্ডের কোন যোগাযোগই ছিল না।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের আধুনিক ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় মৃত্যুদণ্ডের জন্য কারাগারে অপেক্ষার পর বেকসুর খালাস পাওয়া অন্যতম ব্যক্তি ফোর্ড।
নিহত ৫৬ বছর বয়সী জুয়েলারি দোকানদার ইসাডোর রোজম্যানের দোকানে মাঝে মাঝে কাজ করতেন ফোর্ড। সে কারণেই রোজম্যানকে খুন করার দায়ে ফোর্ডকে দোষি সব্যস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি কখনোই খুনের দায় স্বীকার করেননি।
ফোর্ডের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, রোজম্যানের খুনের সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন না আর এর সঙ্গে জড়িতও ছিলেন না বলে দাবী করে আসছিলেন ফোর্ড। সম্প্রতি তার দাবীর পক্ষে পাওয়া একটি তথ্যের সূত্র ধরে তাকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছে আদালত।
লুইজিয়ানার কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর নিজের অনুভূতি প্রসঙ্গে ৬৪ বছর বয়সী ফোর্ড বলেন, “আমার জীবন থেকে ত্রিশটি বছর হারিয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, আমি আমার ৩৫, ৩৮ বা ৪০ বছর বয়সে ফেরত গিয়ে ওই বয়সে যা করতে পারতাম তা আর করতে পারবো না। আমি যখন যাই আমার ছেলেটি বাচ্চা ছিল, আর এখন ওর নিজেরই বাচ্চাকাচ্চা আছে। তারপরও আমার বাল লাগছে। এখন শুধু সবদিকে ছুটে যেতে ইচ্ছা করছে।''