মহাকাশে এবার গ্যাস স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) গবেষকেরা। পরিকল্পনা সফল হলে নভোযানে আর অতিরিক্ত জ্বালানি বহন করার প্রয়োজন পড়বে না। মহাকাশ অভিযানে বা চাঁদ ভ্রমণের পথে অতিরিক্ত জ্বালানি এখান থেকেই সংগ্রহ করা যাবে। তখন জ্বালানির পরিবর্তে প্রয়োজনীয় গবেষণা যন্ত্রপাতি বহন করতে পারবে নভোযান। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
গবেষকেদের মতে, পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্যের যে অঞ্চলে মহাকর্ষ টানের ভারসাম্য রয়েছে সে অঞ্চলে এই জ্বালানি ডিপো তৈরি করা যেতে পারে।
গত কয়েক দশক ধরেই গবেষকেরা মহাকাশ থেকে জ্বালানি সংগ্রহের নানা রকম নকশার কথা বলে আসছেন। কিন্তু সেখানে এ ধরনের গ্যাস স্টেশন তৈরির খরচের বিষয়টি সব সময়ই বড় বাধা হয়ে সামনে আসে। সম্প্রতি এমআইটির গবেষকেরা সাশ্রয়ী গ্যাস স্টেশন তৈরির দুটি নকশা করেছেন। গবেষকেরা জানিয়েছেন, মহাকাশের ল্যাগরেঞ্জ অঞ্চলে এই ডিপো স্থাপন করা যেতে পারে। কারণ এই অঞ্চলটিতে মহাকর্ষ ভারসাম্য বিদ্যমান।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, মহাকাশ অভিযানের সময় যাতে খরচ, পরিশ্রম ও ওজন কমানো যায়, তার জন্য সেখানকার উপাদান কাজে লাগিয়ে প্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবা তৈরি করে নিতে পারলে ভালো। এ ধরনের উদ্যোগের ফলে অদূর ভবিষ্যতে মহাকাশ যাত্রায় সুফল পাবেন নভোচারীরা। তাদের মতে পৃথিবী থেকে জ্বালানি, পানিসহ অন্যান্য উপকরণ বয়ে নেওয়া মানে অতিরিক্ত ভার বহন করা। এসব উপাদানের বদলে যদি বাড়তি কম্পিউটার কিংবা অন্যান্য গবেষণার উপাদান পাঠানো সম্ভব হয়, তবে মহাকাশ মিশন বেশি কার্যকর হতে পারে।