নভেম্বরে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি কমেছে জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘আমরা কয়েকমাস ধরে বলে আসছি, মূল্যস্ফীতির হার কমবে। তা এখন কমতে শুরু করেছে। এই ইতিবাচক ফলাফল অবশ্যই সরকারের কৃতিত্ব।’
‘আমরা মনে করি, পণ্যের দাম আরো কমবে। দুই-একটা অর্থনীতি ছাড়া সারাবিশ্বে দাম কমতে শুরু করেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ না হলেও বর্তমানে যেভাবে আছে এমন থাকলে আশা করি, মূল্যস্ফীতির হার ধীরেধীরে অনেক কমে আসবে।’
আজ সোমবার দুপুরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত অক্টোবরে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৮ দশমিক ৯১ শতাংশ। তা দশমিক শূন্য ৬ কমে নভেম্বর হয়েছে ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এই দুই মাসের তুলনায় মূল্যস্ফীতির হার নিম্নমুখী।
তবে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে, যা অক্টোবরে ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ ছিল। নভেম্বরে তা বেড়ে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আর মজুরি হার অক্টোবর মাসে ৬ দশমিক ৯১ থাকলেও তা দশমিক শূন্য ৭ বেড়ে ৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘এখন আমাদের মূল উদ্দেশ্য নিম্নবিত্তদের জন্য কাজ করা। অন্যরা চালিয়ে নিলেও তাদের বেশি কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা বলছি না মূল্যস্ফীতি কমার কারণে তাদের আর কষ্ট হবে না। তবে কিছুটা হলেও তাদের কষ্ট কমবে, এটাই স্বস্তির বিষয়।’
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ