করোনার থাবায় দেশের স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় মনকে প্রফুল্ল করতে স্ত্রী আর সন্তানকে নিয়ে বান্দরবানে ঘুরতে যান ফজলুল হক। তবে পাহাড়ি এই এলাকায় প্রথমবারের মতো ঘুরতে আসা ফজলুল পরিচিত নয়; এখানকার খাবার, রেস্টুরেন্ট আর নির্জন কিছু জায়গা সম্পর্কে। ফলে খাবার নিয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হয় তাকে। এমন পরিস্থিতিতে খাবারের বিড়ম্বনা দূর করতে তাকে সহায়তা করছে দেশের জনপ্রিয় অনলাইন খাবার সরবরাহকারী ফুডপ্যান্ডা।
পাহাড়ি আর প্রত্যন্ত অঞ্চলে এমন সুবিধার বিষয়ে ফজলুল হক বলেন, আমি সত্যিই ফুডপ্যান্ডার প্রতি কৃতজ্ঞ। এখানকার সেরা রেস্টুরেন্ট থেকে ভালো মানের খাবার আমাকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য।
পাহাড়ি এলাকায় গ্রাহকদের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়া কানোজ চাকমা নামের এক রাইডার বলেন, করোনা কালীন এই সময়ে ফুডপ্যান্ডার মাধ্যমে আমাদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে, যা পরিবারের অর্থনৈতিক সমস্যা দূরীকরণে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। একই সাথে গ্রাহকরা মুহুর্তেই তাদের পছন্দের খাবার পাচ্ছে।
ফুডপ্যান্ডার মাধ্যমে খাবার সার্ভিস প্রদান করা রাখাইন রেস্টুরেন্ট এন্ড জুস বারের মালিক মিস থু মে চিং বলেন, বান্দরবানের অপার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয় না এমন মানুষ খুব কমই আছে। ঠিক তেমনি এখানকার খাবারও মানুষের কাছে জনপ্রিয়। কিন্তু দেখা যায় অনেক দূরে দূরে রেস্টুরেন্ট। ফলে পর্যটকদের ইচ্ছে থাকলেও এখানকার খাবার সহজেই খেতে পারে না। তবে ফুডপ্যান্ডার কারণে সহজেই গ্রাহকরা অর্ডার করতে পারছে এবং আমরাও ফুডপ্যান্ডার মাধ্যমে তাদের কাছে খাবার পৌঁছে দিতে পারছি।
নতুন যাত্রার বিষয়ে ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশ- এর সিইও আম্বারিন রেজা বলেন, “যাত্রা করার সাথে সাথে ভ্রমণ পিপাসু মানুষের কাছ থেকে আমরা ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। বান্দরবানের মতো পাহাড়ি ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে এরকম একটি প্লাটফর্ম চালু করা সত্যিই খুব চ্যালেঞ্জিং বিষয় ছিল। তার পরেও এখানকার স্থানীয় জনগণ সহজেই ফুডপ্যান্ডাকে গ্রহণ করে নিয়েছে।”
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ