যাদের প্রতিনিয়ত মেজাজ খারাপ হয়ে যায় বা যারা ক্ষেপে যান তারা নিজেদের অজান্তেই স্বাস্থ্যের ক্ষতি ডেকে আনছেন। সেইসঙ্গে মেজাজ ঠিক না রাখতে পারলে ব্যক্তিগত জীবন ও কর্মক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। নিচে তাই মেজাজ কিভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় সে উপায় নিয়ে আলোচনা করা হলো :
প্রাথমিক অনুভূতি মনেই রাখুন : যেকোনো বিষয় নিয়ে প্রথম অনুভূতিতেই অনেকে নিজের রাগ প্রকাশ করে থাকেন। এটি ঠেকানোর জন্য নিজের আগ্রাসী অনুভূতিকে দমন করতে শিখতে হবে। এ জন্য প্রথমেই কোনো বিষয় নিয়ে অনুভূতি প্রকাশ বন্ধ করুন। প্রথম অনুভূতিটি নিজের মনেই রাখুন। সময় নিন। পরবর্তী সময় ভেবেচিন্তে সেই অনুভূতি প্রকাশ করুন।
নিজের নিঃশ্বাস লক্ষ করুন : রাগ কারো মানসিক সুস্থতাকে কেড়ে নিতে পারে। এ অবস্থায় মন ও দেহ আগ্রাসী হয়ে ওঠে। হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ বেড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে কোনো কারণে যদি আপনার এ লক্ষণ দেখা যায় তাহলে সংযত হোন। বড় করে শ্বাস নিন এবং ধীরে ধীরে ছাড়ুন।
মনোযোগ পাল্টান : কোনো বিষয় যদি আপনার মানসিক অশান্তি সৃষ্টি করে তাহলে ভিন্ন বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করুন। সামান্য বিশ্রাম করুন, বন্ধুকে ফোন করুন, একটু হেঁটে নিন, এক গ্লাস পানি পান করুন, একটি গান শুনুন কিংবা একটি বই পড়ুন। এতে মানসিক অবস্থা পরিবর্তিত হবে এবং রাগ কমবে।
অনুভূতিকে ভালো কাজে লাগান : অনুভূতিকে ভালো কাজে লাগাতে পারলে এর মাধ্যমে সামনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। যেমন পরীক্ষায় খারাপ ফল করলে সে অনুভূতি কাজে লাগিয়ে পূর্ণ শক্তিতে পড়াশোনা করা যেতে পারে। এতে ভবিষ্যতে ভালো ফলাফলের সম্ভাবনা তৈরি হবে।
শুনুন : রাগ হলেই তা প্রকাশ না করে অন্য পক্ষেরও বক্তব্য শুনুন। তার দিক থেকেও এমন কোনো বিষয় থাকতে পারে, যার ব্যাখ্যা আপনার রাগ কমাতে সহায়তা করবে।
সংযত হোন : আগ্রাসী মনোভাবের বদলে নিজেকে সংযত করে গড়ে তুলুন। মনে রাখতে হবে অন্য সব বিষয় যতই প্রতিকূল হোক না কেন আপনার আচরণের জন্য আপনিই দায়ী। নিজেকে সংযত করেই এ ক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান সম্ভব। সূত্র : হাফিংটন পোস্ট
বিডি-প্রতিদিন/৭ আগস্ট ২০১৫/শরীফ