রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ শখের যেমন জিনিস, তেমনি দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য একটি অংশও বটে। এই যন্ত্রটি জীবনযাত্রাকে অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে। এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চললে পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য ভালো থাকার পাশাপাশি বারবার ফ্রিজ পরিস্কার করার হাত বেঁচে যাবেন।
১. শাকসবজি কিংবা ফলমূল সবকিছুই ভালো করে ধুয়ে ফ্রিজে রাখুন। তাহলে ফ্রিজে গন্ধ হবে না। ডিপ ফ্রিজে ফল বা তরকারি রাখা উচিত নয়। এতে স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়।
২. যে কোনো সবজি প্লাস্টিকের প্যাকেটে ভরে ফ্রিজে রাখুন। প্লাস্টিকের প্যাকেটের মুখ ভালো মতো শক্ত করে আটকে দিন। এতে শাকসবজি ভালো ও টাটকা থাকবে। কাঁচা মরিচের বোটা ফেলে দিয়ে প্লাস্টিকের ব্যাগে মুখ বন্ধ করে রাখুন।
৩. ধনেপাতা, পুদিনাপাতা, লেটুস পাতা ইত্যাদি ফ্রিজে রাখার পরও শুকিয়ে যায়। এগুলোর গোড়া কেটে ফ্রিজে রাখুন। সহজে শুকাবে না।
৪. টমেটো ও শসা এক প্যাকেটে না রেখে আলাদা আলাদা প্যাকেটে রাখুন। এতে অনেকদিন টাটকা থাকবে।
৫. ডিম রাখার সময় ডিমের মোটা দিকটা নিচের দিক করে রাখলে ডিম অনেকদিন ভালো থাকে।
৬. ফ্রিজে কোনো খাবার রেখে বের করার পর একবারেই গরম খেয়ে নিন। বারবার গরম ও ঠান্ডা করে ফ্রিজে রাখলে ব্যাকটেরিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
৭. মাছ-মাংস সংরক্ষণের ক্ষেত্রে চর্বি ও ময়লা ফেলে দিয়ে তারপর ফ্রিজে রাখুন। প্রতিদিনের জন্য আলাদা আলাদা করে ভাগ করে রাখলে ঝামেলা কম হবে।
৮. ফ্রিজের উপর কখনো ভারি কিছু রাখবেন না।
৯. ফ্রিজে খাবার আলগা রাখবেন না। এতে এক খাবারের গন্ধ অন্য খাবারে ছড়িয়ে পড়ে। রান্না করা খাবার এয়ারটাইট কনটেইনারে ঢুকিয়ে ফ্রিজে রাখুন।
১০. গরম খাবার কখনো ফ্রিজে রাখবেন না। রান্না করা খাবার স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এনে তারপর রাখুন ফ্রিজে।
১১. একেবারে দেয়াল ঘেঁষে ফ্রিজ রাখা উচিত নয়। যথাসম্ভব খোলামেলা জায়গায় রাখুন। তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে এতে সরাসরি রোদ না লাগে।
১২. ফ্রিজ পরিষ্কার করার আগে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণকারী নবটি বন্ধ করে নিন। বরফ গলে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ফ্রিজের ট্রে, ড্রয়ার ও অন্যান্য অংশ খুলে বের করে নিন। হালকা কুসুম গরম পানিতে লিকুইড সোপ মিশিয়ে খুলে রাখা তাক, ড্রয়ারসহ ভেতরের অংশগুলো পরিষ্কার করুন। ফ্রিজের বাইরের অংশ পরিষ্কার করার জন্য ভিনেগার বা মাইল্ড ধরনের ক্লিনার ব্যবহার করতে পারেন। শেষে ঠাণ্ডা পানিতে সবকিছু ধুয়ে খুব ভালো করে মুছে নিন। চালু করার ১৫ মিনিট পর ফ্রিজে খাবার রাখবেন।
১৩. বছরে একবার ইলেকট্রিক সংযোগ বন্ধ করে দিয়ে ফ্রিজের পিছনে বা নিচে থাকা কয়েল পরিষ্কার করুন। নরম ব্রাশ বা ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন কয়েল।
বিডি-প্রতিদিন/২২ জুলাই ২০১৫/শরীফ