আমাদের শরীর নিয়ম ভালোবাসে। অনিয়মের চেষ্টা চললেই সে বেঁকে বসে। যেমন ধরুন,প্রতিদিন আমরা কোনো না কোনো ভুল করেই থাকি। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু এই ভুলের প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী এবং তা ক্ষতিকর হতে পারে।যদি প্রতিদিনই এমন ভুল হয় তাহলে এমন ঘটনা ঘটতেই পারে। সেটা পেশার ক্ষেত্রে যেমন সত্য তেমনি শরীরের ক্ষেত্রেও। তাই সুস্থ শরীরের জন্য নিয়মের বিকল্প কিছু নেই। তাই বলে অনিয়মটাকেই নিয়ম ভাবলে চলবে না একেবারেই। শরীর সুস্থ রাখার সাথে সাথে বয়স বাড়ার সঙ্গে যৌবন ধরে রাখাটাও বেশ কঠিন। অনিয়ম আর সচেতনাতার অভাবের কারণেই আমাদের কাছ থেকে দ্রুত পালিয়ে যায় যৌবন। যেসব ভুলের কারনে এমন ঘটনা ঘটে তা আগে জেনে নেই:
কম ঘুমানো
ব্যস্ততা কিংবা কারণে-অকারণে অনেকেই পরিমিত (৬-৮ ঘণ্টা) ঘুমান না। ফেইসবুক,টুইটার এধরনের সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোর কারনে অনেকেই রাত জাগেন। আর পরিমিত না ঘুমানোর কারণে শরীরে বাসা বাঁধে রোগ, ত্বকেও পরে যায় বয়সের ছাপ।
মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি খাওয়া
অনেকেরই অভ্যাস আছে বেশি মিষ্টি খাওয়ার। এটা শুধু ওজনই বাড়ায় না, ত্বকেরও ক্ষতি করে। ওজন বাড়া মানে তাড়াতাড়ি বুড়ো হয়ে যাওয়া এবং শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রমে ব্যাঘাত সৃষ্টি হওয়া। এছাড়া মুটিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যৌন সক্ষমতাও কমে যেতে পারে।
অতিরিক্ত ব্যায়াম
সুন্দ সুস্থ শরীরের জন্য ব্যায়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু অনেকেই প্রয়োজনের তুলোনায় বেশী ব্যায়াম করে। এই ভেবে যে তাড়াতাড়ি মেদ কমে যাবে।অতিরিক্ত ব্যায়াম করলে ভালোর চেয়ে মন্দই হবে বেশি। অতিরিক্ত কায়িক শ্রম যেমন ক্ষতিকর তেমনি অতিরিক্ত ব্যায়ামও ক্ষতিকর। যা আপনাকে বুড়ো বানিয়ে দেবে তাড়াতাড়ি।
সানস্ক্রিন ব্যবহার না করা
আমরা রোদে পুড়ি প্রতিদিনই। এতে কী পরিমাণ ক্ষতি হয় তা আসলে আমাদের চিন্তার মধ্যেই নেই। তাই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেই না। কিন্তু যে যত বেশি রোদে পুড়বে, সে ততো তাড়াতাড়ি বুড়ো হবে। অর্থাৎ বয়সে বুড়ো না হয়েও চেহারায় বুড়োর ছাপ পড়বে।
ধূমপান ও মদ্যপান
এই দুই বদ অভ্যাস আমাদের কতটুকু ক্ষতি করে তা নতুন করে বলার কিছু নেই। শরীরের পামাপাশি চেহারায় ছাপ ফেলতে দেরি করে না অভ্যাস দুটি। ধূমপান ও মদ্যপানে ত্বকের নিচের শিরা-উপশিরায় রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে যায়। এতে ওইসব শিরা-উপশিরা স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ত্বকে দেখা দেয় বয়সজনিত বিভিন্ন দাগ।