সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেছে, বিশেষ 'প্রোটোকল' মেনে চললে ব্লাড ক্যান্সারেও সন্তান ধারণ করা যাবে। কলকাতারই একদল চিকিৎসকের আট বছর ধরে করা গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানপত্রিকা আইরিশ জার্নাল অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে। আর এটি চিকিৎসা জগতে ব্যাপক আলোড়ণ তুলেছে। কেননা, লিউকিমিয়া কিংবা গ্যাস্ট্রো-ইন্টেস্টিনাল স্টোমাল ক্যান্সারের চিকিৎসায় জীবনভর খেয়ে যেতে হয় মোনোক্লোরাল অ্যান্টিবডি (এমসিএ) নামে এক ধরনের ওষুধ। রক্তে দানা বাঁধা ক্যান্সারকে বশে রাখতে বন্ধ করা মুশকিল এমসিএ গোত্রের সেই ওষুধ 'ইমাটিনিব'। ওষুধটি যেমন শুক্রাণু উৎপাদনে অন্তরায়, তেমনই তা বাধা দেয় গর্ভস্থ ভ্রূণের বৃদ্ধিতে। এমনকি, বিপজ্জনকভাবে নিজে থেকেই গর্ভপাত হয়ে গিয়ে প্রসূতির প্রাণসংশয় হওয়াও বিচিত্র নয়। ইমাটিনিব খাচ্ছেন, এমন রোগীর সংখ্যা একেবারে কমও নয়।
তবে এ ব্যাপারে কী করণীয় তা নিয়ে ডাক্তারি বইতে স্পষ্ট কিছু লেখা না থাকায়, ঝুঁকি না নিয়ে তাই সন্তানধারণ করতে নিষেধই করেন ডাক্তাররা। গর্ভধারণ প্রক্রিয়ার মাঝে সাহস করে এ সব নিয়ে গবেষণাও করতে চান না বিশেষ কেউ। এ বিষয়ে ইউরোপ, আমেরিকায় কয়েকটি গবেষণাপত্র থাকলেও, ভারতীয় পরিবেশে এ দেশের মানুষের ওপর এ পর্যন্ত কোনও গবেষণা ছিল না।
হেমাটো-অঙ্কোলজিস্ট আশিস মুখোপাধ্যায় জানান, ঠিকঠাক প্রোটোকল মেনে এগোলে ভারতীয়দের ক্ষেত্রেও কোনো সমস্যা থাকার কথা নয়। তার নেতৃত্বে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোস ক্যান্সার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের করা এই গবেষণাকে জীবনের জয়গান হিসেবেই দেখা হচ্ছে।