ভালোবাসার ইতিবাচক-নেতিবাচক দু'টি দিক নিয়েই চিন্তা করেন সবাই। কারও কাছে জীবনটা খুব সুন্দর। কারণ তার জীবনে আছে একান্ত আপন একটি মানুষ। আবার যারা সঙ্গীবিহীন তাদের কাছে এই জীবনটাই একটু মন খারাপের। কিন্তু এটা কি আপনার জানা আছে, যে রোমান্টিক একটি সম্পর্কে জড়ালে আপনার শুধু মনই নয়, বরং স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে? হ্যাঁ এটাই সত্যি। প্রেমের সম্পর্ক আপনার স্বাস্থ্যের পাঁচটি উপকার করতে পারে। যেমন:
মানসিক সমস্যা কম হবে
প্রেমিক বা প্রেমিকার সাথে মানুষ প্রায়ই ঝগড়া করে। একই কথা বিবাহিত দম্পতিদের জন্যেও প্রযোজ্য। কিন্তু এরপরেও সম্পর্কে জড়িত মানুষের মানসিক অবস্থা থাকে অন্যদের তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ভালো। এমনকি যারা সম্পর্কে তেমন আন্তরিক নন তাদের ক্ষেত্রে শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা বেশ দেখা যায়। সুতরাং সম্পর্কে জড়ালেই হবে না, সম্পর্কে থাকতে হবে আন্তরিক। তবেই মানসিক স্বাস্থ্য থাকবে চমৎকার। নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই এ সুবিধা রয়েছে।
ব্যথা কম হয়
'লাভ ইজ পেইন' বা 'ভালোবাসা যাতনা' যারা বলেন, তাদের মতামত পরিবর্তন করার সময় এসেছে। কারণ সত্যিকারের ভালোবাসার অনুভূতি পারে ব্যথার অনুভূতিকে ভোঁতা করে দিতে। ভালোবাসার মানুষটির প্রতি মনোযোগ দিলে তাদের ব্যথার অনুভূতি অনেকটাই কমে যায়।
স্ট্রেস কমে যায়
আমাদের অনেক রোগের পেছনে লুকানো কারণ হলো স্ট্রেস বা চাপ। স্ট্রেসমুক্ত জীবনে অনেক রকমের রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব হয়। আর এটা তো ধরেই নেওয়া যায় যে পারস্পরিক সমঝোতা থাকলে একটা সম্পর্কে স্ট্রেস অনেক কম থাকবে এবং সার্বিকভাবে জীবনের স্ট্রেসও কম হবে। আসলেই তাই। রীতিমত গবেষণা থেকে প্রমাণিত একটি বিষয় হলো, শান্তিপূর্ণ একটি সম্পর্কে থাকলে মানুষের জীবনের স্ট্রেসও কম হয় এবং শরীর ভালো থাকে। একজন মানুষ যখন স্ট্রেসে থাকে তখন তার সঙ্গী তাকে মানসিক সহায়তা দেয় এবং এভাবেই মন অনেকটা ভালো করে দেয় সম্পর্ক।
দীর্ঘায়ু লাভ
যেসব মানুষ বিবাহিত এবং তাদের সঙ্গীর সাথে বসবাস করেন তাদের আয়ু দীর্ঘ হয়ে থাকে অন্যদের তুলনায়। একাকী জীবনযাপন করতে থাকা মানুষ বা বিচ্ছেদ হয়ে গেছে এমন মানুষের আয়ু কম হয়ে থাকে।
আনন্দ
প্রথম প্রথম প্রেমে পড়ার পর এবং সম্পর্কে জড়ানোর পর মানুষ মোটামুটি ঢোল পিটিয়ে জাহির করতে থাকে যে তার একজন ভালোবাসার মানুষ আছে এবং এতে সে কতোই না সুখি! এটা কিন্তু আসলেও সত্যি যে মানুষ যদি সত্যি সত্যি প্রেমে পড়ে, তবে সে এমনিতেই থাকে আগের চাইতে অনেক বেশি হাসিখুশি। আর জীবনে আনন্দ থাকার কারণে এসব মানুষের স্বাস্থ্যও থাকে সার্বিকভাবে ভালো।