ফেসবুকে রোজ চ্যাট করা হয়, ফোনে কথা হয়। সম্পর্কটা ঠিক বন্ধুত্ব না, আবার প্রেমও না। বলা যায়, এক ধরনের ফ্লার্ট করা। আজকাল অনেকেই কম-বেশি ফ্লার্ট করতে পছন্দ করেন। আপনি যদি সিঙ্গেল হন এবং ফ্লার্টিং যদি খুব বেশি ক্ষতিকর পর্যায়ের না হয় তাহলে সেটাতে তেমন ক্ষতি নেই। বরং টুকটাক ফ্লার্টিং করার কিছু উপকার আছে। আসুন জেনে নেয়া যাক ফ্লার্টিং এর কিছু মজার উপকারিতা।
আত্মবিশ্বাস বাড়ায়
ফ্লার্টিং করা মানেই একে অপরের প্রশংসা করা। বিপরীত লিঙ্গের একটি মানুষের কাছ থেকে প্রশংসা শুনতে সবাই ভালোবাসে। বিপরীত লিঙ্গের কারো কাছ থেকে প্রশংসা পেলে মানুষ আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে এবং নিজের সম্পর্কে ধারণা ভালো হয়।
মন ভালো করে দেয়
বিপরীত লিঙ্গের কারো সঙ্গে হাসি, মজার রসিকতা, গল্প-আড্ডার মাধ্যমে ফ্লার্টিং করলে কিছুক্ষণের মধ্যেই মন ভালো হয়ে যায়। মন ভালো করে এমন বিশেষ হরমোনের উৎপাদনের মাধ্যমে ভালো লাগার অনুভূতি সৃষ্টি হয় এবং বেশ ফুরফুরে মেজাজে থাকা যায়।
বিষণ্নতা ও মানসিক চাপ কমায়
মানসিক চাপ ও বিষণ্নতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ফ্লার্টিং-এর মাধ্যমে। প্রচণ্ড মানসিক চাপ ও বিষণ্নতা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। টুকটাক নিরীহ প্রকৃতির ফ্লার্ট করলে মানসিক চাপ ও বিষণ্নতা থেকে মুক্ত থাকা যায়।
একাকীত্ব দূর করে
অনেকেই একাকীত্বে ভোগেন। যারা একাকীত্বে ভুগছেন তাদের একাকীত্ব দূর করবে ফ্লার্টিং। মনের কথা বলার একজন মানুষ পাওয়া যায় বলে দুঃখ-আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়া যায়।
কর্মশক্তি বাড়ায়
ফ্লার্টিং করলে অ্যাড্রেনালিন হ্রাস হয়। ফলে পুরো শরীরে উদ্দীপনা সৃষ্টি হয় এবং রক্তচলাচল বৃদ্ধি পায়। ফলে কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও কাজের মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তিও বৃদ্ধি পায় অ্যাড্রেনালিন হ্রাসের ফলে।