হে আমার দীনদার ভাইয়েরা! আপনারা ইসলামের মধ্যে পরিপূর্ণভাবে প্রবিষ্ট হোন। আল্লাহ পাক ও বান্দাদের হক যথারীতি আদায় করুন। বান্দার হকগুলোর মধ্যে প্রতিবেশীর হক হলো অন্যতম। সুতরাং আপনারা সাধ্যানুযায়ী তাদের হক আদায় করুন। কেননা এটি আপনাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব যা জ্ঞানী লোক মাত্র অস্বীকার করতে পারে না। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রসুলে পাক (সা.) বলেন_ আল্লাহর কসম! ওই ব্যক্তি ইমানদার নয়, ওই ব্যক্তি ইমানদার নয়, ওই ব্যক্তি ইমানদার নয়। জিজ্ঞাসা করা হলো, ইয়া রসুলুল্লাহ! ওই ব্যক্তি কে? তিনি উত্তরে বললেন, ওই ব্যক্তি যার অত্যাচার ও অপকার হতে তার প্রতিবেশী লোকরা নিরাপদে থাকে না। (বোখারি ও মুসলিম শরিফ) হজরত রসুলে পাক (সা.) আরও বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ পাক ও পরকালের প্রতি ইমান রাখে, সে যেন তার প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ পাক ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে সে যেন তার মেহমান-অতিথিকে সম্মান করে। যে ব্যক্তি আল্লাহ পাক ও কিয়ামতের দিনে বিশ্বাস রাখে সে যেন সর্বদা ভালো কথা বলে অথবা চুপ থাকে। (বোখারি ও মুসলিম শরিফ) হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হজরত রসুল পাক (সা.)-কে বলতে শুনেছি ওই ব্যক্তি ইমানদার নয়, যে ব্যক্তি উদরপূর্তি করে খায় অথচ তার পাশেই তার প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত থাকে। (বায়হাকি শরিফ)। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রসুলুল্লাহ! অমুক মহিলা অধিক নামাজ, রোজা ও দান সদকার কারণে তাকে স্মরণ করা হয়, তবে তার জবান দ্বারা তার প্রতিবেশীকে কষ্ট দিয়ে থাকে। রসুল (সা.) বললেন, সে জাহান্নামি। ওই ব্যক্তি আরও জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রসুলুল্লাহ! অমুক মহিলা অল্প রোজা, অল্প দান-সদকা ও অল্প নামাজের বিষয়গুলোর মধ্যে আলোচনা করে। তবে সে পনিরের টুকরো বিশেষভাবে দান করে থাকে এবং তার জবান দ্বারা প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয় না। রসুলুল্লাহ বললেন, সে জান্নাতি। অতএব, আমাদের উচিত প্রতিবেশীর অধিকারগুলো যথারীতি আদায় করা। যেমন_ দান, সদকা, খাওয়ানো, সাহায্য-সহযোগিতা করা, ঋণদান, সেবা শুশ্রূষা, প্রতিবেশীদের কোনো প্রকার কষ্ট না দেওয়া এবং সর্বাবস্থায় তাদের কুশল কামনা করা ইত্যাদি হক আদায় করা ইমানের দাবি। আল্লাহতায়ালা আমাদের সবাইকে প্রতিবেশীর হক আদায়ের তৌফিক দান করুন। আমিন।