মুমিনুল শব্দটি আমানুন আরবি শব্দ হতে উদ্ভূত। এর আভিধানিক অর্থ যে বিশ্বাস করে, যে স্বীকৃতি দেয় বা স্বীকার করে। আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে নবী-রাসূলগণ যে হেদায়েত নিয়ে এসেছেন তাকে অন্তর থেকে সত্য হিসেবে গ্রহণ করা, মুখে এর স্বীকৃতি দেওয়া এবং সে অনুযায়ী কাজ করাকে ইমান বলা হয়। আর যে এ ইমানের ঘোষণা দেয় সেই মুমিন। আল্লাহতায়ালা একক সত্তা, তাঁর রাসূল, ফেরেশতা, কিতাব, আখিরাত এবং তাকদিরের প্রতি আন্তরিক বিশ্বাস স্থাপনকারীকে ইসলামী শরিয়তের পরিভাষায় মুমিন বলা হয়। মহান আল্লাহতায়ালা বলেন, প্রকৃত মুমিন তারাই, যারা আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি ইমান আনার পর আর সন্দেহে পড়ে না এবং নিজেদের মাল ও জান দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করে। এরাই সত্যবাদী (সূরাহ আল হুজরাত : ১৫) প্রকৃত মুমিনের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে গিয়ে মহাপ্রতিপালক ইরশাদ করেন_ আল্লাহর স্মরণে তাদের হৃদয় কেঁপে ওঠে, তাদের সামনে আল্লাহর বাণী উচ্চারিত হলে তাদের ইমান বৃদ্ধি পায়, তারা আল্লাহর ওপর আস্থাশীল ও নির্ভরশীল হয়ে থাকে, সালাত কায়েম করে এবং আল্লাহ প্রদত্ত রিজিক থেকে ব্যয় করে। বস্তুত এরাই হচ্ছে সত্যিকারের মুমিন। তাদের জন্য আল্লাহর কাছে খুবই উচ্চ মর্যাদা রয়েছে এবং আরও রয়েছে তাদের কৃত অপরাধের ক্ষমা ও অতি উত্তম রিজিক। (সূরাহ আনফাল : ২-৪)
প্রকৃত মুমিনের বৈশিষ্ট্য, হাদিসের ভাষায় বলা হয়েছে, হজরত আনাস (রা.) বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের মধ্যে কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না আমি তার কাছে তার পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি এবং অন্যান্য সব মানুষের চেয়ে প্রিয় হব। [বোখারি, প্রথম খণ্ড-১৯৩]
প্রত্যেকের উচিত প্রকৃত মুমিন হয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নেওয়া। তাহলেই আমাদের পরকালের জীবন সার্থক হবে।