মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর আরও কঠোর শুল্ক আরোপ করেছেন। বুধবার চীনের পণ্যের উপর শুল্ক ১২৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ঠিক তার পরের দিন বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীনা পণ্যের উপর মোট শুল্ক বেড়ে ১২৫ শতাংশ নয় বরং ১৪৫ শতাংশ হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ও ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, শুল্ক বাড়ানোর ব্যাখ্যাও দিয়েছে হোয়াইট হাউজ। বলা হয়েছে, ট্রাম্পের নতুন ঘোষণায় চীনের পণ্যের উপর শুল্ক ৮৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করা হয়েছিল।
তবে প্রাণঘাতী মাদক ফেন্টানিল নিয়ে বিতর্কে চীনের উপর আগে থেকেই আরোপ করে রাখা ২০ শতাংশ শুল্কও বর্ধিত এই ১২৫ শতাংশ শুল্কর সঙ্গে কার্যকর হবে। ফলে চীনের পণ্যে মোট শুল্কের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ১৪৫ শতাংশে। যা বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক আগামী তিন মাসের জন্য স্থগিত হলেও, এই তালিকা থেকে বাদ পড়েছে চীন। বরং তিনি চীনা পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক ১২৫ শতাংশে উন্নীত করেছেন। এছাড়া পূর্বের আরোপিত অতিরিক্ত আরও ২০ শতাংশ জুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
ফলে, চলতি বছর চীনা পণ্যের ওপর ট্রাম্পের আরোপিত মোট শুল্কের পরিমাণ ১৪৫ শতাংশে পৌঁছেছে।
তবে ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়াম আমদানি, সেইসঙ্গে অটোমোবাইল পণ্যগুলোকে বাদ দেওয়া হয়েছে, যেগুলোর ওপর ট্রাম্প পৃথক ব্যবস্থায় ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন। তামা, ওষুধ, সেমিকন্ডাকটর, কাঠ ও জ্বালানির মতো পণ্যের ক্ষেত্রে—ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি ভিন্নভাবে চিন্তা করছেন।
সূত্র: দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস, এনডিটিভি
বিডি প্রতিদিন/নাজিম