পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ২০২৪-এ ছিল ৭৩০ কোটি ডলার, যেখানে ইসলামাবাদ থেকে ওয়াশিংটন ৫১০ কোটি ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প শুল্ক ধার্য পদক্ষেপ স্থগিত ঘোষণা দেওয়ার আগে এক ঘোষণায় পাকিস্তান সরকার বলেছিল যে, নতুন শুল্ক আলোচনার জন্য আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে একটি প্রতিনিধিদল পাঠাবে তারা।
বিশ্ববাজারে বাণিজ্য অংশীদারদের উপর ‘আলোড়ন সৃষ্টিকারী’ শুল্ক ধার্যের অংশ হিসেবে গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন পাকিস্তানি পণ্যের উপর ২৯ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে।
তবে, বুধবার গভীর রাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন যে, তিনি ৯০ দিনের জন্য তাদের শুল্ক আরোপ স্থগিত রাখবেন, যদিও সমস্ত দেশ এখনও ১০ শতাংশ বেসলাইন হারের মুখোমুখি হবে।
পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের অফিস থেকে গত বুধবার রাতে জানানো হয় যে, তাদের একটি প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্রে যাবে।
বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে এএফপিকে নিশ্চিত করেছে যে সফর এখনও নিশ্চিতই রয়েছে।
"আগামী সপ্তাহগুলিতে মার্কিন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের সরকারি প্রতিনিধিদল ওয়াশিংটনে যাওয়ার কথা রয়েছে," সূত্রটি জানিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তা এরিক মেয়ারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বুধবার ইসলামাবাদে শেহবাজ শরীফের সাথে আলোচনা করার সময় এই ঘোষণা আসে।
পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উভয় পক্ষই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে পাকিস্তান ঋণ খেলাপি হওয়ার দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছিল, কারণ রাজনৈতিক সংকট অর্থনৈতিক মন্দাকে আরও বাড়িয়ে তোলে এবং দেশের ঋণের বোঝাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যায়।
আইএমএফ থেকে ৭ বিলিয়ন ডলারের বেলআউটের মাধ্যমে এটি অর্থনৈতিক অবস্থাকে কিছুটা পুনরুদ্ধার করেছে এবং মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পেয়েছে, বৃদ্ধি পেয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তান থেকে বিদেশি বাহিনী প্রত্যাহারের পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পাকিস্তানের কৌশলগত গুরুত্ব হ্রাস পেয়েছে এবং ওয়াশিংটন ও ইসলামাবাদের মধ্যে সম্পর্ক এখন মূলত সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন