হংকংয়ের গণতন্ত্রকামী ধনকুবের জিমি লাই জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল এবং বিদেশি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করা ও প্রতিবেদন প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। বুধবার ১.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যক্তিগত বন্ডের বিনিময়ে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। তবে এ জামিনের সর্ত হিসাবে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু লিখতে পারবেন না এবং কোনো সাক্ষাতকার দিতে বা নিতে পারবেন না।
হংকংয়ের মিডিয়া টাইকুন ও গন্ততন্ত্রের দাবিতে আন্দোলনের অন্যতম মুখ জিমি লাই। একটি দুর্নীতি মামলায় ডিসেম্বরের ৩ তারিখ থেকে পুলিশ হেফাজতে ছিলেন ৭৩ বছর বয়সের এই মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। বরাবরই বেইজিংয়ের স্বৈরচারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন 'নেক্সট ডিজিটাল' মিডিয়া সংস্থার কর্ণধার জিমি। তার পরিচালিত হংকংয়ের সংবাদপত্র 'অ্যাপেল ডেইলি'-কে চীনে সংবাদ মাধ্যমের শেষ 'স্বাধীন গড়' হিসেবে মনে করা হয়।
এর আগে, গত আগস্ট মাসে লাই ও তার এক ছেলে ইয়ানকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। তার আগে এক সাক্ষাত্কারে লাই সাফ জানিয়েছিলেন, হংকংয়ে থেকেই তিনি গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই চালিয়ে যাবেন। এ সময় নতুন জাতীয় নিরপত্তা আইনে তাকে হয়রানি করবে বেইজিং বলে সেখানে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি, সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়। বিশ্লেষকদের মতে, লাইয়ের প্রভাব প্রতিপত্তিতে রাশ টানতে তত্পর হয়েছে জিনপিং প্রশাসন। তাই মিথ্যা মামলায তাকে ফাঁসিয়ে জেলে পাঠাতে মরিয়া কমিউনিস্ট পার্টি। কিন্তু আদালত লাইকে জামিন দেওয়ায় কিছুট হলেও উদ্বিগ্ন বেইজিং।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে আন্তর্জাতিক মঞ্চের প্রতিবাদকে তোয়াক্কা না করে হংকং নিয়ে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা বিল পাশ করে চীন।
সূত্র : নিউইয়র্ক টাইমস্।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ