নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বাতিলের দাবিতে ভারতজুড়ে চলমান বিক্ষোভ তৃতীয় সপ্তাহেও অব্যাহত আছে। গতকাল শুক্রবার দিল্লি, মুম্বাই, কলকাতা, চেন্নাইসহ দেশটির বড় বড় শহরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে ছাত্র-জনতা। উত্তরপ্রদেশের ২১টি জেলায় ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
অস্ত্রধারী পুলিশ, আধাসামরিক বাহিনীর পাশাপাশি নজরদারিতে ব্যবহৃত হচ্ছে ড্রোন (মানুষবিহীন উড়োযান)। শুক্রবার জুমার নামাজকে ঘিরে দিল্লির জামা মসজিদসহ বিভিন্ন এলাকায় সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন। দিল্লি ছাড়াও মুম্বাই, চেন্নাই এবং উত্তরপ্রদেশের বেশির ভাগ এলাকায় সকাল থেকেই মোতায়েন ছিল অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য।
পুলিশি বাধা উপেক্ষা করেই দিল্লির জামে মসজিদ ও মুম্বাইয়ের আজাদ ময়দানে বিক্ষোভে শামিল হয় হাজার হাজার শিক্ষার্থী। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সাধারণ জনগণও। উত্তর-পূর্ব দিল্লির উত্তরপ্রদেশ ভবন, শীলামপুর ও জাফরাবাদে বিক্ষোভ ঠেকাতে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। এতে সংঘর্ষ এড়ালেও ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি পুলিশ।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি ওপি সিংহ জানিয়েছেন, রাজ্যটির ৭৫ জেলার মধ্যে ২১টিতে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে। রাজ্যজুড়ে নজরদারিতে ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রোন, নামানো হয়েছে আধাসামরিক বাহিনী। সংবেদনশীল জায়গাগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিক্ষোভ দমনে অনলাইন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপরও নজরদারি চালাচ্ছে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। ইতিমধ্যে সাড়ে ১৯ হাজার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে ১২৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের অভিযোগে ৪৯৮ জনকে চিহ্নিত করেছে রাজ্য প্রশাসন।
মিরাটেই ৭৯টি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ, গ্রেফতার করা হয়েছে ৩১৭ জনকে। গত কয়েকদিনে বিক্ষোভকালে ভারতে নিহত হওয়া ২৫ জনের মধ্যে ১৯ জনই এই রাজ্যের।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা